শিরোনাম
দেশের ওপর দিয়ে বইছে মহামারি করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। নতুন বছরের শুরু থেকে প্রতিদিনই ব্যাপক হারে বাড়ছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। একইসঙ্গে বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুও। সংক্রমণ মোকাবিলায় এরইমধ্যে সরকার ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে বিধিনিষেধ কার্যকর করছে। কিন্তু এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, নজর নেই বিধিনিষেধের দিকেও।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, অনেক যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। অনেকের মাস্ক থুতনিতে ঝুলানো। হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে হাতে গোনা কিছু যাত্রীর কাছে। কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার প্রতি মনোযোগী নয়। সবাই ঠাসাঠাসি গাদাগাদি করে ট্রেনে ওঠানামা করছেন।
স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনের বাহিরের গেটেই কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাউন্টার। কাউন্টারে বহু লোকের লাইন। কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ আবার অন্য কোনো কারণে বাড়ি কিংবা গন্তব্যে যাচ্ছেন।
নারী ও পুরুষের পৃথক দীর্ঘ লাইনে দেখা মেলে প্রায় সব বয়সী মানুষের। তাদের কেউ মাস্ক পরছেন, কেউ মুখ থেকে মাস্ক নামিয়ে রেখেছেন। আবার কেউ মাস্ক ছাড়াই দাঁড়িয়ে আছেন।
এসময় কথা হয় টিকিট সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ হিরা মিয়ার সঙ্গে। মুখে মাস্ক না পরার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে আসা হিরা মিয়া বলেন, তাড়াহুড়া করে চলে আসছি। মাস্ক আনতে মনে নাই। করোনা বাড়ছে শুনছি।
করোনা হওয়ার ভয় আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনায় মানুষ মারা যায়, ভয় তো আছেই।
‘মাস্ক নাই। সকালে বের হইছি তো... আনতে মনে নাই’- বলেন জামাল নামের আরেকজন যাত্রী।
গেটে দাঁড়িয়ে থাকা টিকিট কালেক্টর ইউসুফ আলী বলেন, মানুষের মাস্ক পরা নিয়ে অনাগ্রহ রয়েছে। অনেকেই মাস্ক ছাড়াই চলে আসে। কেউ কেউ স্টেশনে প্রবেশের আগে মাস্ক পরে, কিন্তু ভেতরে গিয়ে খুলে ফেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনে সারাদেশে ১০ হাজার ৮৮৮ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এমন ভীতিকর সংক্রমণ পরিস্থিতিতেও সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি কার্যকরে স্টেশন কর্তৃপক্ষের তোড়জোড় চোখে পড়েনি। সকাল সাড়ে ৯টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থবিধি নিশ্চিত করার বিষয়ে স্টেশনের এসআই (নিরস্ত্র) রিয়াজ মাহমুদ জানান, স্টেশনে প্রবেশের সময় মাস্ক না পরলে বা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের তেমন কিছু করার থাকে না। বিশেষত কমিউটার (লোকাল) ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা হয়। এতে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ে।
সূত্র: জাগো নিউজ