শিরোনাম
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত ও মৃত্যু- সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। ইপিডিমিওলজিক্যাল ৪৮তম সপ্তাহের (২৯ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর) তুলনায় ৪৯তম সপ্তাহে (৬-১২ ডিসেম্বর) নমুনা পরীক্ষা ৭ শতাংশ, শনাক্ত ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং মৃত্যু ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। তবে এ সময়ে সুস্থতার হার ৪ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৪৮তম সপ্তাহে এক লাখ ২৯ হাজার ৫৪৮টি নমুনা পরীক্ষা, এক হাজার ৬৫৯ করোনা রোগী শনাক্ত ও ২৩ জনের মৃত্যু হয়। একই সময় সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৯৫৭ জন। ৪৯তম সপ্তাহে এক লাখ ৩৮ হাজার ৫৯২টি নমুনা পরীক্ষা, এক হাজার ৮৮২ রোগী শনাক্ত ও ২৭ রোগীর মৃত্যু হয়। এই সময়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৮৭৬ জন।
সে হিসাবে এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ৯ হাজার ৪৪টি, শনাক্ত বেড়েছে ২২৩ জন এবং মৃত্যু বেড়েছে চারজন। এই সময়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা কমেছে ৮১ জন।
চলতি সপ্তাহে মৃত ২৭ জনের মধ্যে ১৮ জন কো-মরবিডিটিজনিত কারণে মারা যান। ২৭ জনের মধ্যে মাত্র পাঁচজন (১৮.৫ শতাংশ) টিকা নেন। এদের মধ্যে প্রথম ডোজের তিনজন ও দ্বিতীয় ডোজের দুইজন। অবশিষ্ট ২২ জনই (৮১.৫ শতাংশ) টিকা পাননি।
এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৮ হাজার ৩১ জনে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৫ জন। এনিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৯ হাজার ৭১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
দেশে ইতোমধ্যে করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়েছে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
চলতি (ডিসেম্বর) মাসেই ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ (তৃতীয় ডোজ) দেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
সূত্র: জাগো নিউজ