শিরোনাম
রাজধানীসহ সারাদেশে গত এক মাসেরও বেশি সময় অব্যাহতভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু কমছে। অথচ কয়েকমাস আগেও দিনে কয়েক হাজার মানুষ করোনা সংক্রমিত হচ্ছিলেন। হাসপাতালে বেড না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটতেন স্বজনরা। মুমূর্ষু রোগীদের জন্য আইসিইউ বেড পাওয়াটা হয়ে উঠেছিল সোনার হরিণের মতো।
ওই সময়ে দেশে একদিনে রেকর্ড ২৬৪ জন রোগীর মৃত্যু ও ১২ হাজারের বেশি নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড দেখেছে মানুষ। সেই অবস্থা থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে এসেছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে তিনজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ২০৬ জন রোগী।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু কমাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যুর সময়ে, বিশেষ করে লকডাউন চলাকালে দেশের মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেও বর্তমানে সেই প্রবণতা কমেছে। স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা মুখে মাস্কও পরছেন না অধিকাংশ মানুষ।
স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও করোনার সংক্রমণ কমার কারণ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘দেশে করোনার বিভিন্ন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট চলে এসেছে। ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কোনো স্থানে যদি স্থিতিশীল ট্রান্সমিশন হয়, তাহলে এটি একজনের থেকে অন্য জনের ছাড়া বাকি মানুষের মধ্যে সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে না। ফলে ট্রান্সমিশন সেভাবে বাড়বে না।’
তিনি বলেন, ‘কোনো একটি ভ্যারিয়েন্ট যদি দীর্ঘসময় কোনো স্থানে থাকে, তাহলে সেটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে বাধ্য হয়। সেজন্যই আমাদের সংক্রমণ একেবারেই কম। তবে নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট চলে আসলে ফের সংক্রমণ বাড়তে পারে।’
দেশে গত বছরের অর্থাৎ ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ওই বছরের ১৮ মার্চ প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) পর্যন্ত এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ হাজার ৯০৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৮৩৪টি ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট এক কোটি পাঁচ লাখ সাত হাজার ৯৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৪ জন। মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সূত্র: জাগো নিউজ