শিরোনাম
রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচিউর তথা আরওপি হচ্ছে নবজাতকের চোখের একটি সমস্যা যাতে রয়েছে অন্ধত্বের ঝুঁকি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও সহকারী অধ্যাপক ডা. তারিক রেজা আলী জানিয়েছে বিস্তারিত। তিনি বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর এখন প্রিম্যাচিউর বাচ্চার জন্ম হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের নিওনেটাল কেয়ার দিন দিন উন্নত হচ্ছে। আমাদের দেশে নিউনেটোলজি অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রিম্যাচিউর বাচ্চাদের রেটিনার রোগ হতে পারে।
ডা. তারিক রেজা আলী বলেন, প্রিম্যাচিউর (অপরিণত) বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ রোগ আল্লাহ তায়ালা নিজে নিজেই ভালো করে দেন। বাকি ৩০ শতাংশের ক্ষেত্রে নানা রকমের সমস্যা হয়ে থাকে। প্রিম্যাচিউর বাচ্চা বলতে আমরা বুঝি যার জন্ম ৩৫ সপ্তাহের আগেই এবং জন্মের সময় যে বাচ্চাটির ওজন দুই কেজির কম।
বিশিষ্ট এ চক্ষু বিশেষজ্ঞ বলেন, এসব বাচ্চার জন্মের ৩০ দিনের মধ্যে বাচ্চাকে একজন রেটিনা স্পেশালিস্টের কাছে গিয়ে চোখ পরীক্ষা করাতে হবে যে বাচ্চাটির রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটি তথা আরওপি আছে কি না।
আর যদি বাচ্চাটি ২৮ সপ্তাহের আগেই জন্মগ্রহণ করে এবং তার ওজন যদি ১৫০০ গ্রামের কম হয়, তখন বাচ্চাটিকে ২০তম দিনে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তখন এই বাচ্চাগুলোর রেটিনাগুলোকে পরীক্ষা করা হয়। তার ভেতরে নানারকম সমস্যা থাকতে পারে, রক্তনালীর সমস্যা থাকতে পারে।
যদি সমস্যা পাওয়া যায়, তখন চোখে কিছুদিনের জন্য একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তারপর এ বাচ্চাগুলোকে লেজার করা হয়। ফলে যেখান থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে লেজার করে, সে জায়গাগুলোকে বার্ন করে দেওয়া হয় বা পুড়িয়ে ফেলা হয় যাতে করে যতোটুকু নরমাল, ততটুকু দিয়ে বাচ্চাটি সারাজীবন ভালো থাকতে পারে।
সূত্র: ডক্টর টিভি