শিরোনাম
বানরের দেহে বঙ্গভ্যাক্স টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফলাফল নিয়ে প্রতিবেদন বিএমআরসিতে জমা দিয়েছে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। সোমবার বিএমআরসিতে এ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন গ্লোব বায়োটেকের সিনিয়র ম্যানেজার (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
বিএমআরসির নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে চালানো বঙ্গভ্যাক্স পরীক্ষার ফলাফল সমপর্কিত প্রতিবেদন বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদন জমার পর গ্লোব বায়োটেক কতৃর্পক্ষ আশা করছে, দ্রুত তাদের পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করা হচ্ছে।
যে কোনো টিকা তৈরির পর ধাপে ধাপে নানা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সর্বশেষ মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে তা নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি তৈরিতে সফলতার মুখ দেখলে তা টিকা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মার সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর গত বছরের ২ জুলাই কোভিড টিকা তৈরির কাজ শুরুর কথা জানায়।
এরপর খরগোশের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ‘সফল’ হয়েছেন দাবি করে মানবদেহেও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করতে গত জানুয়ারিতে বিএমআরসিতে আবেদন করেছিল গ্লোব বায়োটেক।
তখন বিএমআরসি বানর কিংবা শিম্পাঞ্জির উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে সংশোধিত আবেদন জমা দিতে বলে। তা মেনে ৫৬টি বানরের উপর পরীক্ষা চালিয়ে এখন প্রতিবেদন দিল তারা।
গ্লোব বায়োটেকের সিনিয়র ম্যানেজার (কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি) ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ইঁদুরের দেহে টিকাটি পরীক্ষা করে ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা মিলেছিল। এরপর বিএমআরসির নির্দেশনা অনুসারে বানরের দেহে পরীক্ষা চালানো হয়। প্রাথমিক ফলাফলে টিকাটি বানরের দেহে সম্পূর্ণ নিরাপদ ও কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম হয়! এরপর বানরের দেহে আরেক দফা পরীক্ষা চালানো হয় যাকে বলা হয় চ্যালেঞ্জ ট্রায়াল।
এই পরীক্ষায় করোনার কতটি ভেরিয়েন্টে বঙ্গভ্যাক্স কাজ করে তা দেখা হয়। ফলাফলে দেখা গেছে, এ পর্যন্ত করোনার যতগুলো ভেরিয়েন্ট এসেছে তার সব কটিতেই টিকাটি শতভাগ কার্যকর।
সূত্র: যুগান্তর