শিরোনাম
বাংলাদেশে ৮০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকা দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এখন পর্যন্ত প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে সাড়ে ৫ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে বর্তমানে দেশের করোনা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টিকার তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হলেও বাংলাদেশ সরকার এখনই এ নিয়ে ভাবছে না। সূত্র: আরটিভি
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, বুস্টার ডোজ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। তাই এখনই এ নিয়ে চিন্তা না করে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওয়াতা আনার চেষ্টা করতে হবে। যদি সংক্রমণ বেড়ে যায় তখন এ নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় আপাতত বুস্টার ডোজের বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (এমআইএস) পরিচালক মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, করোনার তৃতীয় ডোজ নিয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা বা পরিকল্পনা নেই। তাছাড়া বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসছে। যদি আবার সংক্রমণ বেড়ে যায় তখন হয়তো এ বিষয়ে পরিকল্পনা হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক সাইদুর রহমান জানান, বুস্টার ডোজের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো নির্দেশনা দেয়নি। তাছাড়া দেশে বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি টিকা দেয়ার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। তাই এ মূহুর্তে বুস্টার ডোজ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কখনও যদি করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয় তাহলে করোনা মোকাবিলায় সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেয়া যেতে পারে।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব ও জনস্বাস্থ্য কমিটির সদস্য ডা. আবু জামিল ফয়সালও বলছেন, দেশে এখনই ঢালাওভাবে করোনার তৃতীয় ডোজের দরকার নেই। এখন আমাদের টার্গেট ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনা।