শিরোনাম
প্রোস্টেট একটি গ্রন্থি, যা প্রায় আখরোটের মতো আকারের। এটি লিঙ্গ ও মূত্রাশয়ের মধ্যে থাকে। প্রোস্টেটের প্রধান কাজ হলো তরল তৈরি করা, যা শুক্রাণুর সঙ্গে মিশে বীর্যের সৃষ্টি হয়।
প্রোস্টেটের মধ্যে যখন অস্বাভাবিক কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, তখন তা প্রোস্টেট ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
যদিও এটি প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো সতর্কতা লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে না। তবে যখন প্রোস্টেট মূত্রনালিতে প্রভাব ফেলে ও যথেষ্ট বড় আকারের হয়ে যায় তখন উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে।
প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ কী কী?
প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত
পুরুষদের প্রস্রাবে রক্ত বা বীর্য প্রস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এই লক্ষণ দেখলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রোস্টেট ক্যানসারের ক্ষেত্রে টিউমারটি যথেষ্ট বড় হতে পারে।
ফলে মূত্রনালিসহ অন্যান্য পার্শ্ববর্তী গ্রন্থি বা রক্তনালিতে ও পুরুষ প্রজনন সিস্টেমের চারপাশে চাপ পড়তে পারে। টিউমার থেকে এই চাপের কারণে, প্রজনন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে প্রস্রাব বা বীর্যে রক্ত দেখা দিতে পারে।
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন
ইরেক্টাইল ডিসফাংশন কখনো কখনো প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এখন পর্যন্ত সরাসরি প্রোস্টেট ক্যানসারের কারণে যৌন কর্মহীনতার কোনো অফিসিয়াল রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। তবে যদি হঠাৎ ইরেক্টাইল ডিসফাংশন অনুভব করেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন দ্রুত।
ক্লান্তি
যদি আপনি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্তবোধ করেন তাহলে সতর্ক থাকুন। কারণ এটি প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
ওজন কমে যাওয়া
ওজন কমে যাওয়াও প্রোস্টেট ক্যানসারের একটি অনির্দিষ্ট লক্ষণ হতে পারে। তাই হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন ও দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
পিঠে ব্যথা
পিঠে বা হাড়ে যে কোনো কারণেই ব্যথা হতে পারে। এটি যদিও প্রোস্টেট ক্যানসারের তাৎক্ষণিক লক্ষণ নয়। তবে গুরুতর পর্যায়ে গেলে ও ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তেই প্রচণ্ড পিঠে ব্যথার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এসব লক্ষণ দেখলে সঠিক রোগ নির্ণয় ও শনাক্তের জন্য ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া