শিরোনাম
বিশ্বব্যাপী বাড়ছে ডিমেনশিয়া (স্মৃতিভ্রংশ) রোগীর সংখ্যা। প্রতি বছর নতুন করে এক কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে সাড়ে ৫ কোটি মানুষ রোগটিতে ভুগছেন। বর্তমান বিশ্বের সপ্তম মৃত্যুর প্রধান কারণ এটি।
এটি এমন একটি রোগ যার ফলে রোগী কিছু মনে রাখতে পারেন না। এমনকি একটু আগেই করা কাজ ভুলে যায় অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে উপসর্গ শনাক্ত করা গেলে ডিমেনশিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ডিমেনশিয়ার বেশ কয়েকটি নীরব উপসর্গ সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-
মনে রাখতে না পারা: ডিমেনশিয়া রোগের প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণ বিষয়ও মনে রাখতে ভুলে যান। প্রাথমিক পর্যায়ে এই অবস্থা উপেক্ষা করা হলে ধীরে ধীরে তা বেড়ে যায়। একপর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তির সামগ্রিক স্মৃতিশক্তিকে প্রভাবিত করে। কোথায় জিনিসপত্র রেখেছেন তা মনে না রাখা, নিজের বাসার গলি বা বন্ধুর বাড়ির কথা মনে করতে না পারা ডিমেনশিয়ার কিছু লক্ষণ। এসব উপসর্গ উপেক্ষা করা মোটেও ঠিক নয়।
মেজাজের পরিবর্তন: ডিমেনশিয়ার আরেকটি সাধারণ উপসর্গ হল কোনো কারণ ছাড়াই প্রায়ই দুঃখবোধ ও রাগ হওয়া। এ রোগে আক্রান্তরা এ ধরনের আবেগের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না।
অগ্রহণযোগ্য আচরণ: সমাজে গ্রহণযোগ্য নয় এমন আচরণ দেখানো ডিমেনশিয়ার আরেকটি উপসর্গ। কেউ যদি হঠাৎ করে জনসমক্ষে শান্ত হয়ে যায় বা অন্যকে গালিগালাজ শুরু করে, তাহলে তা উপেক্ষা করা ঠিক নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তের অবস্থা মন্দ থেকে মন্দতর হতে পারে।
কোনো ধরনের পরিকল্পনা করতে সমস্যা: বয়সের সঙ্গে অনেকের বড় কাজ পরিচালনা করার দক্ষতা বাড়ে। কিন্তু ডিমেনশিয়া শুরু হয়ার সাথে তাদের মধ্যে ধীরগতির প্রবণতা দেখা দেয়।কোনো ধরনের কাজের পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করতে না পারা, অংশগ্রহণে অনিচ্ছা, কিছু পরিকল্পনা ও আয়োজন করার সময় বিভ্রান্তি ডিমেনশিয়ার উপসর্গ।
সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া: সামাজিক কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়ার প্রবণতা ডিমেনশিয়ার উপসর্গ। বিশেষ করে একজন ব্যক্তি যিনি আগে সামাজিকভাবে সক্রিয় ছিলেন, যদি সামাজিক বৃত্ত থেকে দূরে থাকতে শুরু করেন তাহলে বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত।
ডিমেনশিয়ার অন্য সাধারণ উপসর্গগুলো হলো বস্তুর দূরত্ব নিয়ে ভুল ধারণা করা, অন্য ব্যক্তির আবেগের প্রতি কম আগ্রহী হয়া, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, জিনিসগুলোকে ভুল জায়গায় রাখা, সমস্যা সমাধানে অসুবিধা, শারীরিকভাবে ধীর হয়ে যাওয়া, প্রচুর বিরক্ত হওয়া ইত্যাদি।
পরিবার বা পরিচিত কারো মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা দিলে তাকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নেয়া উচিত।