শিরোনাম
শরীরের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার। অনিয়মিত জীবনযাপন ও অতিরিক্ত ওজনের কারণে অনেকেই লিভারের নানা সমস্যায় ভোগেন। কেউ লিভার সিরোসিস, কেউ আবার ফ্যাটি লিভারসহ নানা ধরনের লিভারের সমস্যায় ভুগছেন।
লিভার আমাদের শরীরের পাওয়ার হাউস। সুতরাং লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হলে শরীরের এনার্জি কমে যাবে, রোগী দুর্বল হয়ে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠবে। তাই এখন থেকেই লিভারের যত্ন নেওয়া শুরু করুন।
এজন্য লিভার ডিটক্স বা ফ্লাশ করা প্রয়োজন। ডিটক্স বা ফ্লাশ একটি অভিনব শব্দ, যা খাদ্যতালিকার পরিবর্তনকে বোঝায়। অর্থাৎ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে লিভারে জমে থাকা চর্বি বা ময়লা দূর করার উপায়কেই লিভার ডিটক্স বা ফ্লাশ বলা হয়।
লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করতে সহায়তা করে ‘ডিটক্স ড্রিংকস’। এর উপকারিতা অনেক। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এ পানীয়। সঙ্গে শরীরের সব ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে ক্লিঞ্জার হিসেবেও কাজ করে ডিটক্স পানীয়।
ঘরে থাকা কয়েকটি উপাদান দিয়েই তৈরি করে নেওয়া যায় ডিটক্স ওয়াটার বা ড্রিংস। নিয়মিত এ পানি সেবনে আপনার শরীরের ক্ষতিকর পদার্থ দূর হয়ে যাবে। এছাড়া উন্নত হবে বিপাকক্রিয়া। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন ডিটক্স পানীয়-
শুধু লেবু, পানি আর কয়েক টুকরো শসা দিয়েই তৈরি করে নিতে পারবেন আপনার ডিটক্স ওয়াটার। এটি তৈরি করা খুব সহজ! পানিতে লেবু ও শসার টুকরা দিয়ে সারারাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরেরদিন সকাল থেকে সারাদিন যখনই পানি পানের প্রয়োজন হবে; তখনই ডিটক্স ওয়াটার পান করুন।
এ পানীয়টি ফাইবার সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও এতে থাকা উপাদানগুলোর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। তাই এটি হজম বাড়াতে এবং দেহের টক্সিনগুলো বের করে দিতে পারে।
এ পানীয়তে লেবু থাকার কারণে সহজে আপনি ডিহাইড্রেটেড হবেন না। লেবু মিশ্রিত এ ডিটক্স পানীয় খেলে আপনার লিভার ভালো থাকবে। লিভারে জমাট বাধা ক্ষতিকর পদার্থ যেমন- আয়রনসহ বিভিন্ন উপাদান, যা স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর, সেগুলোও পরিষ্কার হবে।
বিপাকক্রিয়া উন্নত করতে এমনকি ওজন কমাতেও সাহায্য করে এ পানীয়। লেবু পানিতে খেলে ওজন কমে। কারণ লেবুতে প্রাকৃতিকভাবে পেকটিন ফাইবার থাকে, যা ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমায়।
এছাড়া লেবু ও শসার এ পানীয় পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। লেবুতে ভিটামিন সি আছে, যা নিয়মিত গ্রহণ করতে সংক্রমণজাতীয় বিভিন্ন রোগে থেকে নিস্তার মেলে।
এ পানীয় রক্তকে ডিটক্সিফাই করে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা ফ্রি র্যাডিকেল দূর করে ত্বকের বার্ধক্যজনিত প্রভাব দূর করে।
রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পর সকালে খালি পেটে এ ডিটক্স ওয়াটার পান করলে লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে। খালি পেটে পান করার পাশাপাশি সারাদিনও আপনি এ পানীয় পান করতে পারবেন। নিয়মিত ডিটক্স পানীয় পান করার মাধ্যমেই আপনি এর সুফল টের পাবেন।
সূত্র: হেলথলাইন