শিরোনাম
কঠোর বিধি-নিষেধ শিথিল করতে না করতেই চীনে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সম্প্রতি সংস্থাটির প্রধান বলেন, দেশটিতে এর আগে করোনার এত বেশি সংক্রমণ দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
এক সংবাদ সম্মেলনে তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, চীনের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ডব্লিউএইচও খুবই উদ্বিগ্ন। আমরা ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে চীনকে সহায়তা করছি। এমনকি আমাদের পক্ষ থেকে চীনা নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও চিকিৎসাসেবায় সহায়তার প্রস্তাব অব্যাহত থাকবে।
চীন সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনকি দেশটির কবরস্থানে মরদেহের সারি দেখা গেলেও মঙ্গল ও বুধবার নতুন করে করোনায় কেউ মারা যায়নি বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, চীনের জনসংখ্যা বিবেচনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বিভিন্ন দেশের তুলনায় অনেক কম।
অন্যদিকে চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি জানায়, চীনে প্রতিদিন ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। দিনপ্রতি মৃত্যুর সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি।
বুধবার সাংহাই শহরের ডেজি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের ধারণা, এ মুহূর্তে শহরটির ৫৪ লাখ ৩০ হাজার নাগরিক করোনা পজিটিভ। বছর শেষ হতে এ সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখে উন্নীত হতে পারে।
২০২০ সাল থেকে দেশটিতে ‘জিরো কোভিড নীতি’ চালু করা হয়,যা চলতি মাসের শুরুর দিকেও জারি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কঠোর ওই বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ জানাতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার চীনা নাগরিক।
বিক্ষোভের মুখে ৭ ডিসেম্বর অধিকাংশ বিধিনিষেধ তুলে নেয় শি জিনপিং প্রশাসন। এরপর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ হু হু করে বাড়তে থাকে।
সূত্র : রয়টার্স