শিরোনাম
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কুষ্ঠ নির্মুলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দেশে কুষ্ঠ রোগী কমলেও এখনো এ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে নয় জেলা।
এসব জেলায় দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সর্বোচ্চ কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে রংপুর বিভাগের ছয়টি জেলা রয়েছে। জেলাগুলো হলো— রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও পঞ্চগড়।
এ ছাড়া মেহেরপুর, মৌলভীবাজার ও জয়পুরহাটেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সফররত জাপানের সাসাকাওয়া হেলথ ফাউন্ডেশনের (এসএইচএফ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দেশের ‘পিপুল’স ফেডারেশন অব লেপ্রসি’-এর সদস্যদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময়সভায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাকিল আহম্মদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন। এতে বলা হয়, দেশে ২০২১ সালে মোট কুষ্ঠরোগী ছিলেন ২ হাজার ৮৭২ জন। তাদের মধ্যে রোগটির কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েছেন ১৬৫ জন। ২০২০ সালে দুই হাজার ৭২৪ রোগীর মধ্যে প্রতিবন্ধী হয়েছেন ১৩৭ জন। ২০১৯ সালে মোট কুষ্ঠরোগী ছিলেন ৩ হাজার ৬৩৮ জন এবং প্রতিবন্ধী হয়েছেন ২৫২ রোগী। ২০১৮ সালে মোট রোগী ছিলেন ৩ হাজার ৭২৬ জন। তাদের মধ্যে প্রতিবন্ধী হয়েছেন ২৯৭ জন। ২০১৭ সালে ২ হাজার ৭৫৭ রোগীর মধ্যে ২৯৬ জন, ২০১৬ সালে ৩ হাজার ১ রোগীর মধ্যে ১৯২ জন এবং ১৯৯৮ সালে ১১ হাজার ৯১ রোগীর মধ্যে ১ হাজার ২৫২ জন প্রতিবন্ধি হয়েছেন।
মুল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় অধ্যাপক ডা. সাকিল আহমেদ বলেন, কুষ্ঠরোগ প্রতিরোধে কোনো টিকা নেই। আক্রান্ত রোগীকে খাবার ওষুধ খাওয়ানোর হয়। আগে এই ওষুধ দীর্ঘদিন খেতে হতো। এখন ছয় মাস খেলেই কুষ্ঠরোগী ভালো হয়ে যাচ্ছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসাইন হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ মুক্ত করতে সার্বিকভাবে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে আগামী অপারেশনাল প্ল্যানে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রাখার ব্যবস্থা করা হবে।