শিরোনাম
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, শিশুদের করোনা টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যে সারাদেশে মোট ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। এ জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত ৪ কোটি ৪০ লাখ টিকা প্রয়োজন হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশে মোট দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়া হবে। এতে মোট ৪ কোটি ৪০ লাখ টিকা প্রয়োজন হবে। আমাদের কাছে ৩০ লাখ টিকা আছে। বাকি টিকা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও কোভেস্কের মাধ্যমে পাওয়ার নিশ্চয়তা পেয়েছি। এসব টিকা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। এটা খুবই নিরাপদ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার দুই মাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দিতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আগামী ২৫ তারিখ থেকে টিকা দেওয়া শুরু হবে। পরীক্ষামূলকভাবে আজ দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ১৬ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এসব শিশুকে আগামী দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এ সময় শিশুদের শারীরিক অবস্থা কেমন হয় ও কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না, তা দেখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনাভাইরাস থেকে নিরাপদ ছিল। মহামারির সময় সারাদেশে ২৯ হাজার অধিক মানুষমারা গেছেন। তাদের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ মানুষ পঞ্চাশোর্ধ। যুককদের সংখ্যা খুবই কম। আর ৫ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি। তাই আমরা পঞ্চাশোর্ধদের মধ্যে ফ্রন্টলাইনারদের আগে দিয়েছি। এখন শিশুদের টিকা পেয়েছি তাই দিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ টিকা দিয়েছি। ১১ কোটি টিকা আমরা বিনামূল্যে পেয়েছি, কিছু টিকা ক্রয় করেও এনেছি। পৃথিবীর অনেক দেশ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ টিকা দিয়ে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যু শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট প্রমুখ।