শিরোনাম
মানবদেহের সবচেয়ে জটিল রোগগুলোর মধ্যে হৃদরোগ অন্যতম। এটিকে নীরব ঘাতক বলা হয়ে থাকে। সময়মতো রোগ নির্ণয় করতে না পারলে বড় জটিলতা তৈরি হতে পারে।
ত্রিশোর্ধ্ব সবার নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। উত্তরাধিকার সূত্রেও কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন। হৃদরোগ থেকে প্রতিকারের জন্য মানসিক চাপ কমাতে এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস মানুষকে স্বাস্থ্য-ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয়। তখনই হজমের জন্য ব্যবহৃত এনজাইমগুলো হজমে ব্যাঘাত ঘটায়। যাদের হৃদরোগ আছে তারা জগিং করলে দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং জয়েন্টেও ব্যথা অনুভব করেন। এজন্য জগিং করার চেয়ে হাঁটা বেশি উপকারি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন ডা. সামিয়া তাসনীম।
হার্ট ভালো রাখতে
১. খাবার বিষয়ে সচেতন হতে হবে
* শর্করা এবং চর্বিজাতীয় খাবার কম খেতে হবে।
* আমিষের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
২. সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন আধা-ঘণ্টা হাঁটতে হবে
* লিফটে চড়া এড়াতে হবে।
* একটানা বেশি সময় বসে থাকা যাবে না।
৩. ধূমপান ত্যাগ করতে হবে
* ওজন, রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৪. নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, হাঁটাহাঁটি এবং আখরোট খাওয়ার মাধ্যমে কোলেস্টরলও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
হৃদরোগের জন্য ভালো খাবার ফল ও সবজি। তৈলাক্ত খাবার হৃদরোগের জন্য বেশি ক্ষতিকারক। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।
হার্ট অ্যাটাক হলে : রোগীদের প্রথমে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে এ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেট রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই হার্টের মাংসপেশির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।