শিরোনাম
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ডায়রিয়ার প্রকোপ থামছে না। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়ার এই ডায়রিয়ার প্রকোপ এখনও অব্যাহত আছে। দিন দিন অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, বাসাবো, কদমতলী ও মোহাম্মদপুর এলাকার মানুষ বেশি ভর্তি হচ্ছে।
রাজধানীর মহাখালীর আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পহেলা মার্চ থেকে গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৪৫ হাজার ৭৩৭ জন রোগী হাসপাতালটিতে ভর্তি হয়েছেন। অথচ হাসপাতালে বেড আছে মাত্র সাড়ে ৩০০।
এ দিকে গত ৪৮ ঘণ্টায় আইসিডিডিআরবি হাসপাতালে ৪৪৪ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া ১৩ এপ্রিল এক হাজার ২০ জন, ১২ এপ্রিল এক হাজার ১০৩ জন, ১১ এপ্রিল এক হাজার ১৫৪ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, দূষিত পানির জন্যই ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব থামছে না। রোগীদের ৩০-৪০ শতাংশই পানিশূন্যতা নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। তারমধ্যে অধিকাংশই প্রাপ্তবয়স্ক। তবে শিশুর সংখ্যাও কম নয়।
এদিকে ডায়রিয়ার প্রকোপ কমাতে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী মাসে (মে) এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। বিশেষ করে ঢাকার যেসব এলাকায় ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাব রয়েছে, সেসব এলাকার ২৩ লাখ মানুষকে এই টিকা দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, গরমে জীবাণু বেশিক্ষণ বেঁচে থাকে। তাছাড়া অনেকেই অনিরাপদ পানি পান করেন। এতে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই বাইরের কোনো খাবারের পাশাপাশি যেখান-সেখান থেকে পানি খাওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, গত ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে এ রকমই একটি প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল; যা একেবারে মহামারীর রূপ ধারণ করে। সেটি স্থায়ী হয়েছিল মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।
সূত্র: আরটিভি