২২ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকাদান: ৫৭ শতাংশের নিবন্ধন নেই

ফানাম নিউজ
  ১৮ মার্চ ২০২২, ১২:০৭

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি সরকারি উদ্যোগে বিনামূল্যে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

বর্তমানে দেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। চলমান টিকাদান কর্মসূচির আওতায় সর্বশেষ ১৭ মার্চ পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে ২২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭হাজার ২৩৭ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকাগ্রহীতার সংখ্যা নয় কোটি ১০ লাখ ১১ হাজার ৭৮১ জন ও বুস্টার ডোজগ্রহীতার সংখ্যা ৫৭ লাখ ১০ হাজার ২০৭ জন।

শুরুর দিকে টিকা গ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও জন্মসনদের মাধ্যমে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক থাকলেও পরে দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিবন্ধন ছাড়াই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত সারাদেশে মোট ২২ কোটি ৩০ লাখ ৬৯ হাজার ২২৫ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধন করেছেন নয় কোটি ৭৮ লাখ ৭১ হাজার ৬৭৩ জন। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ৯ কোটি ৬৭ হাজার ৫৯৭ জন, পাসপোর্টের মাধ্যমে ১৫ লাখ ৩ হাজার ৮৯৭ জন ও জন্মসনদের মাধ্যমে ৬৩ লাখ ১৭৯ জন নিবন্ধন করে টিকা নেন।

সেই হিসাবে মোট টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে মাত্র ৪৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ নিবন্ধনের মাধ্যমে টিকা নিয়েছেন। অর্থাৎ প্রায় ৫৭ শতাংশ নিবন্ধন ছাড়াই টিকা নিয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, নিবন্ধন না করলেও তাদের কাছে টিকাগ্রহীতাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত রয়েছে।

এদিকে, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন লাখ ৯৩ হাজার ১৭৯ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩৮ হাজার ৫৮৯ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৭১ হাজার ৮৯৮ জন। এছাড়া বুস্টার ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৮২ হাজার ৬৯২ জন।

সূত্র: জাগো নিউজ

স্বাস্থ্য এর পাঠক প্রিয়