শিরোনাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা হচ্ছে অনলাইনে। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার প্রথম বর্ষের ইংরেজি বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। অন্যান্য শিক্ষার্থীর মতো অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের ১৪তম ব্যাচের ছাত্র রাজিব মোহাম্মদ। পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা পর কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সূত্র: আজকের পত্রিকা
মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানিয়ে পরিদর্শকের কাছে লিভ নেওয়ার অনুমতি চান রাজিব। এক মিনিট পর লিভ নেওয়ার অনুমতি দিলে চাপা কান্নার শব্দে কথা ভেসে আসে—মা আর নেই।
রাজিবের সহপাঠী শরীফ মিয়া ফেসবুকে লেখেন, অনলাইনে পরীক্ষা চলছিল। প্রায় ৩০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে এমন অবস্থায় একটা কান্নার শব্দ পেলাম। ডিসপ্লেতে তাকিয়ে দেখি বন্ধু মোহাম্মাদ রাজিবের চোখে পানি। বলতেছে, ম্যাম, ম্যাম.... ম্যাম, আমি কি লীভ নিতে পারি? আমি একটু যাই! আমার মায়ের একটু সমস্যা হয়েছে। এক মিনিট পর লিভ নেওয়ার অনুমতি পেল সে।
এইতো কিছুক্ষণ আগে শুনলাম তার মা আর ইহজগতে নেই! আল্লাহ তাঁকে মাগফিরাত দান করে জান্নাতবাসী করুন।
রাজিবের সহপাঠী শারমিন সিমি লেখেন, মৃত্যু কত নিষ্ঠুর!
রাজীবের মায়ের মৃত্যুতে পুরো ইংরেজি বিভাগে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়।