শিরোনাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের কারণে মাঝপথে বাতিল হয়ে যাওয়া এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ১৫-১৭ অক্টোবরের মধ্যে যেকোনো একদিন প্রকাশের প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। এই প্রস্তাবের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার বলেন, তারা আশা করছেন, দ্রুতই ফল প্রকাশের তারিখ পাবেন তারা।
চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের কিছু পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে কিছু পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফল তৈরি হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়। বাতিল হওয়া এসব পরীক্ষার ফল পরীক্ষার্থীদের এসএসসি ও জেএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে।
এর আগে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার জানান, এরই মধ্যে যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়ে গেছে, সেগুলোর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশ করা হবে। আর যেসব বিষয়ের পরীক্ষা হয়নি, সেগুলোর ফল এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বিষয় ম্যাপিং করে প্রকাশ করা হবে। বিষয় ম্যাপিংয়ের জন্য একটি নীতিমালা আছে। এই প্রক্রিয়ায় একজন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে একটি বিষয়ে যত নম্বর পেয়েছিল, এইচএসসিতে সেই বিষয় থাকলে তাতে এসএসসিতে প্রাপ্ত পুরো নম্বর বিবেচনায় নেওয়া হবে। আর এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় বিষয়ে ভিন্নতা থাকলে বিষয় ম্যাপিংয়ের নীতিমালা অনুযায়ী নম্বর বিবেচনা করে ফল প্রকাশ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার অব্যবহিত কয়েকদিন পর সচিবালয়ের অভ্যন্তরে ঢুকে পরীক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও ঘেরাও করলে এবারের এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিলে বাধ্য হয় শিক্ষা বিভাগ।