শিরোনাম
নতুন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধের কারণ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এখন শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটছে। এটি আগে ছিল না। এটা আমলে নিতে হয়েছে। মাঠের চিত্রের ওপর ভিত্তি করেই বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক নির্দেশনায় জানায়, স্কুল ও কলেজ এবং সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ সিদ্ধান্ত নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি বলেছিলেন, জীবন যতখানি স্বাভাবিক রেখে করোনাকে মোকাবিলা করা যায়, সেই চেষ্টা করছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তাঁর কথা হয় হাসপাতাল পরিস্থিতি নিয়ে। দেখা যায়, এখন শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটছে। এটি আগে ছিল না। এটা আমলে নিতে হয়েছে। এ নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, সংক্রমণ হঠাৎ করে বেশি বেড়ে গেছে। এ জন্য শঙ্কা আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারণে যেন সেই শঙ্কা বেড়ে না যায়। এ জন্যই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত খুশিমনে, তা ভাবার কারণ নেই। পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হবে, যখনই মনে হবে ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়া সম্ভব, তখনই ফিরে যাওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপাতত দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মুখোমুখি ক্লাস বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে থাকবে। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দীপু মনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যেখানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া সম্ভব, সেখানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার চেষ্টা থাকবে। এ ছাড়া অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমও থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে সেখানেও মুখোমুখি ক্লাস বন্ধ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের এখন যেভাবে ম্যানেজ করা হচ্ছে, অসুস্থ হলে আইসোলেশন বা বাড়িতে পাঠানো ইত্যাদি করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষকদের অফিসে যেতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।