শিরোনাম
ভোগান্তির এক দশকেরও বেশি সময়ের পর অবশেষে ডিগ্রি স্তরের ৮৪১ শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। যারা এতদিন বিনা বেতনে চাকরি করে আসছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে গেল সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে।
এমপিওভুক্তির প্রজ্ঞাপনে ৪ শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো- ১. সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি স্তরটি সরকারি এমপিওভুক্ত হতে হবে। ২. এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগকালীন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ৩. নিয়োগকালীন বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত হতে হবে। ৪. ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্তদের এমপিওভুক্ত করতে হবে এবং আগে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি এমন কোনো প্রতিষ্ঠানে নতুন করে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে না।
১৯৯৮ সাল থেকে ডিগ্রি পর্যায়ের তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। ২০১১ সাল পর্যন্ত এই শিক্ষকদের নিয়মিত এমপিওভুক্তি দেওয়া হতো। এরপর থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১০ সালের পর বিভিন্ন ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পান ওই ৮৪১ শিক্ষক। কিন্তু এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না তারা। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছিল, তারা অর্থ বিভাগের কাঠামোভুক্ত নন। এ কারণে শিক্ষকদের যোগ্যতা ও বিধি মোতাবেক নিয়োগ ও কর্মরত থাকা সাপেক্ষে এমপিওভুক্ত করতে সম্মতির অনুরোধ জানিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) ডা. সৈয়দ ইমামুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, তৃতীয় শিক্ষক পদটি রেগুলার এমপিওভুক্ত পদ না হওয়ায় আর্থিক বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হয়। তাদের এমপিওভুক্ত করলে সরকারের বার্ষিক ব্যয় হবে ২৫ কোটি ১ লাখ ১৩ হাজার ৪০০ টাকা। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।