শিরোনাম
একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা সম্ভব না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এবারও গুচ্ছ ভর্তি বহাল রাখতে বলে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তাতে ‘আপত্তি’ জানিয়ে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিল বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। গুঞ্জন ছড়িয়েছিল গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া ভেঙে যাওয়ার। সবমিলিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল।
জল্পনা-কল্পনা শেষে সেই সংশয় কেটে গেছে। এবারও তিনটি পৃথক গুচ্ছে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নতুন যুক্ত হচ্ছে তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়। দুটি বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ (জিএসটি) গুচ্ছে এবং আরেকটি যুক্ত হচ্ছে কৃষি গুচ্ছে।
নতুন তিন বিশ্ববিদ্যালয় হলো—কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অংশ নেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। প্রকৌশল গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের এ সভায় ডাকা হয়নি বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সাধারণ গুচ্ছভুক্ত ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পৃথক সভার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এবার এ ভর্তি পরীক্ষার নেতৃত্বে থাকবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
সভায় অংশ নেওয়া উপাচার্যরা জানান, রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে প্রথমে জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের নিয়ে সভায় বসেন ইউজিসির চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সভায় গুচ্ছে থাকার পক্ষে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের মতামত জানান।
এসময় ৩০ জুনের মধ্যে গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ১ জুলাই থেকে নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর সুপারিশ করেন একজন উপাচার্য। সেটিতে সম্মতি দেন সবাই। ইউজিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা শেষ দুপুর ২টায় জিএসটি গুচ্ছের উপাচার্যদের নিয়ে পৃথক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউজিসির সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভার সুপারিশ অনুমোদন করা হয়।