শিরোনাম
বিশ্বের প্রায় সব দেশ পরীক্ষা নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে মূল্যায়নে ঝুঁকছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মূল্যায়নভিত্তিক শিক্ষায় জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন সবাই পরীক্ষা নির্ভরতা থেকে বের হয়ে এ ধারায় আসছে।আমাদেরও তাই নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কাজ করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে অনেক বাধা এসেছে। সেসব বাধাকে অতিক্রম করেই আমরা সামনে এগিয়ে যাবো।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নে তৈরি নতুন অ্যাপ ‘নৈপুণ্য’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অসম্ভব দ্রুততম গতিতে বিশ্ব পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের সময়ে হয়তো ১০ বছরে একটি প্রযুক্তির পরিবর্তন আসতো। এখন হয়তো প্রতি ১০ মিনিটে নতুন প্রযুক্তি আসছে। অসম্ভব দ্রুতগতিতে পরিবর্তিত হওয়ার এ যুগে শুধু খাপ খাওয়ানোর মতো শিক্ষা পদ্ধতিই যথেষ্ট নয়। আমরা চাই, পরিবর্তিত এ বিশ্বে আমাদের শিক্ষার্থীরা শক্তিশালী অবস্থানে থাকুক।
ডা. দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষার সঙ্গে জীবনকে এক করে দিতে চাই। ছাত্রছাত্রীরা এখন জীবনমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। চার দেওয়ালের মধ্যে এখন আর শিক্ষা সীমাবদ্ধ থাকবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আরাফাত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমরা পিছিয়ে যাবো, নাকি এগিয়ে যাবো; তা আমাদেরই ভাবতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমে মুখস্তবিদ্যা থেকে বের হওয়ার সুযোগ রয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অনেক অপ্রচার হয়েছে এবং হবে। আমাদের এসব নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
শিক্ষাক্রম রূপান্তরের পটভূমি নিয়ে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক এম তারিক আহসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) শিক্ষাক্রম ইউনিটের সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান। সভাপতিত্ব করেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ও মূল্যায়ন-সংশ্লিষ্ট কাজে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অংশগ্রহণ এবং শ্রেণিভিত্তিক শিক্ষার্থীদের তথ্য অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।