শিরোনাম
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অনেক মেধাবী। আমাদের দরকার শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করা। সারাবিশ্বের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের ছেলেমেয়ারা যেন চলতে পারে।
শুক্রবার সকালে গণভবনে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের অনুলিপি ও পরিসংখ্যান প্রতিবেদন তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি, তাদের বলব- হতাশ না হয়ে আগামীবার আরও ভালোভাবে পাস করতে হবে, সেজন্য যেন তারা প্রস্তুত হতে পারে। একটু মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করলেই তারা ভালো রেজাল্ট করতে পারবে। একটু পিছিয়ে পড়লেও ক্ষতি নেই, তারা আবার এগিয়ে যেতে পারবে।
শেখ হাসিনা বলেন, অভিভাবকদের বলব, তাদের কখনো বকাবকি করবেন না। তাদেরও মনে কষ্ট আছে। তাদের আদর দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে তারা যেন পড়াশোনায় মনোনিবেশ করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সন্তান পরীক্ষায় যেমনই ফল করুক, অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে কষ্ট না দিয়ে বরং তার দিকে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। অমুকের ছেলে ভালো করেছে, তুমি পারলা না কেন’, এই তুলনাটা যেন না করে। এটা করা ঠিক না। কারণ সবার সব রকম মেধা থাকে না, সবার সেই চিন্তাভাবনার শক্তি থাকে না। যার যেটা দক্ষতা, সে সেই অনুযায়ীই পড়বে। যতটুকু সম্ভব, তাদের সহযোগিতা করা উচিত।
সরকারপ্রধান বলেন, সম্পদের মধ্যে শিক্ষা এমন একটা সম্পদ যেটা কেউ কেড়ে নিতে পারে না, সবসময় কাজে লাগবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, পরীক্ষায় ছেলেদের সংখ্যা কেন কমে যাচ্ছে একটু ভেবে দেখা দরকার। এরা কি স্কুলে যাচ্ছে না? পরীক্ষার্থী সংখ্যা কেন কমে গেল? আমার মনে হয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তা ভালোভাবে দেখা দরকার।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিচ্ছি। করোনার সময়ও সঠিক সময়ে পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে। কোভিড- ১৯ এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। এটা শুধু আমাদের দেশে নয়, ইউরোপ-আমেরিকায়ও একই অবস্থা। তার মধ্যেও আমরা বিনামূল্যে শিক্ষার উপকরণ বই বিতরণ করেছি। এখানে আমরা কোনো কার্পণ্য করিনি। যেটা প্রয়োজন সেটা আমরা দিতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ডিজিটালি করা হয়েছে। এজন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এখন শিক্ষার্থীদের স্কুলে গিয়ে খবর নিতে হবে না, ঘরে বসেই ফলাফল পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দক্ষ জনগোষ্ঠী সবকিছুতে লাগে। তাই আমরা সবকিছু ডিজিটালাইজড করছি। এ পদ্ধতিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী না হলে দেশ পরিচালনা করবে কে? ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে এখন থেকেই আমাদের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, তাদের চিন্তা-চেতনা, রুচি ও মনন আধুনিক জ্ঞানে ভরিয়ে দিতে হবে। আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তি গড়ে তুলতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে।