শিরোনাম
ভারতের কলকাতার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।
বিশ্ব বাঙালির অভিন্ন আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আমন্ত্রণে গত ৩ জুলাই কলকাতায় যান তিনি। চারদিনের সফরে উপাচার্য দেশটির জেআইএস বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
পাশাপাশি কলকাতার সুশীল সমাজ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। উপাচার্যের বৈঠকে বাংলাদেশ তথা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মধ্যকার আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন, গবেষণা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিনিময়সহ নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিশিষ্টজনদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা, আইসিটি প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক কারিকুলামের মান বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ এবং ভারতের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের বিনিময় অব্যাহত রাখা অপরিহার্য। এতে নিজেদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়ন হবে।’ প্রাচ্য অঞ্চলের নিজস্ব শিক্ষার যে দীক্ষা এবং শক্তিমত্তা সেটি যেন আরও প্রবলভাবে চর্চা করা যায় সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য।
তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে মূলত দীর্ঘদিনে শুধু পাশ্চাত্য শিক্ষার ওপর যে নির্ভরতা তৈরি হয়েছে, তার বাইরে দাঁড়িয়ে এই ভূ-অঞ্চলের নিজস্ব শক্তি, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে। আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের কারণেই এটিকে আরও বেশি প্রসারিত করা দরকার।
উপাচার্য ড. মশিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক পবিত্র সরকার, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক অশোক রঞ্জন, নেতাজী ওপেন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মানিমালা দাস, অধ্যাপক শোভনলাল দত্ত গুপ্তা, অধ্যাপক সামাত, অধ্যাপক সুশান্ত চক্রবর্তী, ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক সুশান্ত চক্রবর্তী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শঙ্খ চৌধুরী, গৌতম বসু, বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহ্বায়ক সৌম্যব্রত দাস প্রমুখ।
চারদিন সফর শেষে উপাচার্য ৬ জুলাই দেশে ফেরেন। উল্লেখ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গবেষণায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক উন্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয় ২০২২ সালের ৫ মার্চ। এরই ধারাবাহিকতায় দু’দেশের মধ্যে শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়।