শিরোনাম
দেশের প্রাথমিক স্কুলের শূন্য পদের বিপরীতে চলমান সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অগাামী আগস্ট মাসে নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তার আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। ঈদুল আজহার আগেই এক বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিপিই পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) মনিষ চাকমা বলেন, চলতি মাসের মধ্যে বাকি দুই বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার চেষ্টা চলছে। এরপরই আগস্টের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলে আশা করি এ সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু শুরু করতে পারবো।
জানা গেছে, দেশের প্রাথমিক স্কুলে শূন্য শিক্ষক পূরণের লক্ষ্যে বিভাগওয়ারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করছে ডিপিই। এরই মধ্যে রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, রংপুর, ময়ময়সিংহ, এ ছয় বিভাগের প্রাইমারি স্কুলে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য দুটি আলাদা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাকি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শিগগির প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান, বাকি দুই বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রস্তুতি শেষ। যে কোনো সময়ে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবনের নিয়োগ প্রক্রিয়া পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্পূর্ণ করে থাকে। তাই এ জেলা বাদে বাকি জেলার নিয়োগ পরীক্ষা চলতি বছরের আগস্টে শুরু হতে পারে।
জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রংপুর, বরিশাল ও সিলেট এবং ২০ মার্চ খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ দুই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে।
ডিপিই সূত্র জানায়, চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সাত হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও এ সময়ে নতুন করে যারা অবসরে গেছেন তারা তালিকায় যুক্ত হতে পারেন। এ সংখ্যা শেষ পর্যন্ত ১৫ হাজারের অধিক হতে পারে।
সম্প্রতি সংসদে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন জানিয়েছে, বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৭ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের সংখ্যা ২৯ হাজার ৮৫৮। বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩৪। অর্থাৎ দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে গড়ে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য রয়েছেন একজন করে শিক্ষক।
সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩৭ হাজার শিক্ষক গত জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক স্কুলে যোগাদান করেছে। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে প্রায় দেড় বছর সময় লেগেছে।