শিরোনাম
ঠাকুরগাঁও ও শরীয়তপুরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে স্থাপনে দুটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শরীয়তপুর আইন, ২০২৩’ ও ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শরীয়তপুরে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রস্তাব ছিল। সেটি নীতিগত অনুমোদন ছিল। সেটির নামকরণ করা হয়েছিল ‘শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’। আজকে আইনের খসড়া বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। বিস্তারিত আলোচনার পর এটি অনুমোদন হয়েছে। তবে, একটি বিষয় পরিবর্তন হয়েছে। তা হলো, এটি এখন শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নয়, এটির নাম হবে- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শরীয়তপুর। এ নামে এটি আজকে চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শরীয়তপুর- এ নামে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনটি চূড়ান্ত হয়েছে।’
‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। সেটি হলো ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০২৩। এটি যে নামে উপস্থাপিত হয়েছিল ঠিক সেই নামেই অনুমোদিত হয়েছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ১৯৬১ সালের একটি অধ্যাদেশের আলোকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে ওই অধ্যাদেশের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। এজন্য নতুন আইন করা হচ্ছে। আগের অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে।
এছাড়া ‘সিলেট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০২৩’ এর খসড়া চূড়ান্ত এবং ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (দ্বিতীয় সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইনের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১০ সালে যখন এই আইন করা হয় তখন ওই আইনের আওতায় বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা বলা হয়েছিল যেগুলো অন্য আইনে ছিল। ওই আইনগুলো পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় পরিবর্তিত অংশটুকু বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইনে সন্নিবেশিত করা হচ্ছে।
এছাড়া জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। এটিকে আইনের কাঠামোর মধ্যে আনা হচ্ছে। এখন থেকে নিজস্ব আইনে এটি পরিচালিত হবে।’
‘দ্য হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য সেফ অ্যান্ড এরভায়রনমেন্টালি সাউন্ড রেসাক্লিং অব শিপস, ২০০৯’ এর অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যেটি হংকং কনভেনশন নামে পরিচিত। সেটির অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি অনুসমর্থন করা হলে এ চুক্তির আওতায় আমাদের জাহাজভাঙা শিল্পের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। আমরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তুলনামূলক কম দামে মেয়াদোত্তীর্ণ জাহাজগুলো কিনে এখানে রিসাইক্লিং করতে পারবো। লোহা বা রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উপকৃত হবে।’