শিরোনাম
শিশু অধিকার ও উন্নয়ন বাস্তবায়নে নতুন অর্থবছরে শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধিতে নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সুপারিশ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
বুধবার (৩১ মে) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব সুপারিশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেভ দ্য চিলড্রেন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা এবং শিশু অধিকার ও উন্নয়ন সম্পর্কিত জাতীয় নীতি ও পরিকল্পনা বিশ্লেষণ করেছে। জাতীয় বাজেট থেকে শিশুদের প্রত্যাশা জানতে একটি সমীক্ষাও পরিচালনা করেছে এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপট বোঝার জন্য সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কমিউনিটি অংশীজনদেরও সাক্ষাৎকার নিয়েছে। বাজেট বিশ্লেষণ ও সমীক্ষা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে, সেভ দ্য চিলড্রেন নিচের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোতে নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
সুপারিশ গুলো হচ্ছে:
শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে বয়স-ভিত্তিক (০-১৮) আদর্শ শিশু বাজেট কাঠামো প্রণয়নের সুপারিশ করছে সেভ দ্য চিলড্রেন। অংশগ্রহণমূলক বাজেট প্রক্রিয়া, খাত/মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বরাদ্দ, ব্যয়, বয়স-ভিত্তিক ব্যয়, অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা, প্রকল্পের প্রভাব ইত্যাদি প্রতিবেদন নিশ্চিত করতে কাঠামোটি দিক নির্দেশনা প্রদান করবে।
মোট বাজেটের কমপক্ষে ১৬ শতাংশ (বা জিডিপির অনুপাতে ১.৬ শতাংশ) শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা প্রয়োজন। শিশুদের জন্য পিইডিপি ৪ এর মত দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি সময়মত বাস্তবায়নের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ বাজেটে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ কমপক্ষে বাজেটের ১১ শতাংশ (বা জিডিপির অনুপাতে ১.৬ শতাংশ) করা জরুরি। শিশুর প্রারম্ভিক যত্ন ও বিকাশে গুরুত্ব দিতে হবে। কমিউনিটি পর্যায়ে শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা প্রস্তাবিত বাজেটে থাকতে হবে।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত শিশু কল্যাণে সরাসরি জড়িত প্রকল্পগুলোর বরাদ্দের ক্ষেত্রে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাজেটের কমপক্ষে ১০ শতাংশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পথশিশু ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকারসহ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের চিহ্নিত করে তাদের সবাইকে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এবং শিশু-কেন্দ্রীক সামাজিক পরিষেবার মান বৃদ্ধিতে শিশুদের জন্য একটি পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।