শিরোনাম
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীর ওপর স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলার ঘটনায় করা আন্দোলন স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) ফরহাদ হোসেনের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। পরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালামের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
সোমবার রাত ১০টার দিকে এএসপির আশ্বাসে সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন ইবি শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনায় উপাচার্যের নিশ্চুপ থাকার প্রতিবাদে ও অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। এসময় তারা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ভাঙচুর করতে থাকে। পরবর্তীতে উপাচার্য আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে ৮/১০ থেকে ডেকে নিয়ে তার বাসভবনে আলোচনায় বসেন।
এসময় উপাচার্য তাদেরকে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ চারটি গেটে নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত আনসার মোতায়ন ও অতিদ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
পরবর্তীতে রাত ১১ টার দিকে আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন ইবি শিক্ষার্থীরা। তবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে পুনরায় আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে এসেছি। সন্ধ্যা থেকে সড়ক বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এবং সড়ক ক্লিয়ার করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে মামলা নিচ্ছি এবং অতি শিগগিরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য আমরা স্থানীয় সব থানায় বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি।’
এর আগে আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তারা হলেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী জিশাদ ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুপ্ত। মারধরের শিকার হওয়া আহত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়।
এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা এবং হামলার বিচার চেয়ে তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে আগুন জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া হাইওয়ের ঝিনাইদহের মদনদাডঙ্গা ও কুষ্টিয়ার মধুপুর পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেক এলাকা থেকে আকাশ নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে মারধরের শিকার হওয়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। সেসময় বহিরাগত ওই ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে বাইরে পেলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনার পরে ওই শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারে মোটরসাইকেলে তেল আনতে গেলে তাদের মারধর করেন আকাশসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা।