শিরোনাম
এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপ পাঠানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পিইসি বাতিল হলে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও বাতিল করা হবে। এর পরিবর্তে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষার আদলে শিক্ষার্থীদের শিখন অগ্রগতি মূল্যায়নের পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবারের জেএসসি এবং জেডিসি পরীক্ষাও বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। এই দুই স্তরে প্রায় ৫৫ লাখ পরীক্ষার্থী আছে।
জানা গেছে, পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশের মতো পর্যাপ্ত সময় না থাকায় মন্ত্রণালয় এই পরীক্ষা না নেওয়ার চিন্তা করছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো সার-সংক্ষেপেও উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শিখনঘাটতি পূরণে ‘এক্সিলারেটেড রিম্যাডিয়াল লার্নিং’ পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঠদান চলছে। এ ছাড়া গৃহিত অন্য পদক্ষেপও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রায় দেড় বছর পর গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রথমে সপ্তাহে একদিন ক্লাস হয়। করোনা পরিস্থিতি উন্নতির পর এখন সপ্তাহে দু’দিন করে ক্লাস হচ্ছে।
ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা না হলেও শিক্ষার্থীরা সনদ পাবে। তাতে গ্রেড উল্লেখ থাকবে না। একইভাবে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও সনদ দেওয়ার চিন্তা আছে বলে জানা গেছে। সেই সার্টিফিকেট নিয়ে শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হবে। এ ছাড়া পিইসি না হলেও ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ক্লাসে পাঠদানে শেষ করা হবে। এরপর ন্যূনতম পরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। মূলত অটোপাস না দেওয়ার জন্যই এই পদ্ধতি গ্রহণের চিন্তা চলছে।
সূত্র: যুগান্তর