শিরোনাম
উচ্চ মাধ্যমিকের ইংরেজি প্রথমপত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। দুর্বোধ্য ও কঠিন হওয়ায় বইটির কিছু গল্প-প্রবন্ধ ছাত্রছাত্রীদের কম আকর্ষণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এক গবেষণায় এ চিত্র উঠে আসে। ওই গবেষণার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট অংশ বাদ দিয়ে নতুন পাঠ যুক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে শুক্রবার একাদশ শ্রেণিতে পুনরায় অনলাইনে ভর্তির আবেদন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এবারে প্রায় ২১ লাখ ছাত্রছাত্রী এসএসসি পাশ করলেও এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী ভর্তির সুপারিশ পেয়েছে। আর ভর্তি হয়েছে এদের মধ্যে প্রায় ৯ লাখ। কোথাও চান্স না পাওয়া বাকি সাড়ে ৬ লাখের মধ্যে কিছু কারিগরি শিক্ষায় ভিড়ে গেছে। অন্যদের ঝরে পড়ার আশঙ্কা আছে। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ধরে রাখার লক্ষ্যে চতুর্থবারের জন্য আবেদন নেওয়ার কাজ শুরু করছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের পরামর্শক্রমে ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে কিছু নতুন পাঠ্য এসেছে। তবে ইংরেজির ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রমের যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য আছে তা ঠিক রাখা হয়েছে। ৩ মার্চ এনসিটিবির বইগুলো বাজারে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি। এবার চারটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এ কাজ পেয়েছে।
জানা গেছে, ইংরেজিতে নতুন অন্তর্ভুক্ত পাঠে জীবন ব্যবস্থা, নারীর অগ্রগতি ও সাহসিকতাসহ বিভিন্ন অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে। এজন্য আগের চেয়ে ইংরেজি বইয়ের পৃষ্ঠার সংখ্যা বেড়েছে। ফলে বইটির দামও আগের তুলনায় পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে অন্যান্য বইয়ের দাম আগের মতো রয়েছে। সরকার এবারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৪২ লাখ বই ছাপানোর অনুমতি দিয়েছে। ২ মার্চ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ পাঠ্যবই বাজারজাত কার্যক্রম উদ্বোধন করার কথা আছে।
সরকারের ইতঃপূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী, ২ মার্চ একাদশ শ্রেণির সশরীরে ক্লাস শুরু হবে। সাধারণত ক্লাস শুরুর আগে বাজারে পাঠ্যবই পাঠানো হয়। কিন্তু এনসিটিবির অধীনে থাকা বইগুলোর কাজ পাওয়া প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুরোধে এবার ক্লাস শুরুর একদিন পরে বাজারে যাচ্ছে। মূলত আগে বাজারে বই অসাধুরা নকল করে বেচে। এ কারণে এই পদক্ষেপ। অধ্যাপক ফরহাদ বলেন, প্রথমদিন সারা দেশে পরিচিতি পর্ব (ওরিয়েন্টেশন) থাকে। সেদিন সাধারণত ক্লাস হয় না। তাই একদিন পরে বাজারে বই গেলে সমস্যা হবে না।
এদিকে একাদশ শ্রেণিতে আবেদনের জন্য আবারও সুযোগ পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক আবু তালেব মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, শনিবার থেকে অনলাইনে এ আবেদন নেওয়া শুরু হবে। চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত। আবেদন যাচাই-বাছাই করা হবে পরের দিন। ফল ১ মার্চ প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা সিলেকশন নিশ্চায়ন ও কলেজে ভর্তির কাজ সারবে ২ ও ৩ মার্চ। এ বছর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা অনুসরণ করে অনলাইন ছাড়া সরাসরি কেউ কলেজে গিয়ে ভর্তি হতে পারবে না।
সংশ্লিষ্টরা জানান, এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করা প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী এবার পছন্দের কলেজে ভর্তির সুযোগ পায়নি। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী আছে এক হাজার ৩০০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ৫৪৪ জন। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১৫ লাখ ৬ হাজার ৭৬৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। তাদের মধ্যে ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩৬ জন শিক্ষার্থী পছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। ৮ জানুয়ারি থেকে মোট তিন দফায় ভর্তির অনলাইন আবেদন নেওয়া হয়। এ ধাপে ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে আছে।
সূত্র: যুগান্তর