শিরোনাম
দেশের দুটি গোষ্ঠীর একটি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও সম্পদ সৃষ্টি করেছে। আরেক গোষ্ঠী কোনো কাজ না করেই সম্পদ অর্জন করেছে। গত দেড় দশকে যারা বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন তাঁরা ছিলেন নিগৃহীত। এখনো তাঁরা অভিন্ন অবস্থায়। রাজনীতি হলো অর্থনীতির প্রাণ। রাজনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক না হলে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক হবে না। দেশের ব্যাংক খাতকে সবল করতে খেলাপি ঋণ আদায়ে সক্রিয় হতে হবে। ব্যাংক ঋণের ক্রমবর্ধমান সুদের চাপে ব্যবসায়ীরা নাজুক অবস্থায়। সুদের হার কমাতে উদ্যোগ নেওয়াও জরুরি।
রাজধানীতে শনিবার সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ-সিজিএস আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ : অর্থনৈতিক নীতিমালা প্রসঙ্গ’ শীর্ষক সংলাপে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিদ্যমান নৈরাজ্য অবসানে সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন আলোচকরা। বলেছেন, সরকারি চাকরিতে মাত্র ৫ ভাগ তরুণের কর্মসংস্থান হবে। অন্যদের কর্মসংস্থানের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বেকারত্ব বাড়লে দেশে বহুমুখী সমস্যার সৃষ্টি হয়। সমাজে দেখা দেবে বিশৃঙ্খলা, তৈরি হবে গ্যাং সংস্কৃতি। যা বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। নোবেল লরিয়েট প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে ব্যবহার করে বিদেশি ঋণ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু দেশে শিল্প স্থাপনে বাইরের সহায়তা আসছে না।
রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা না থাকলে পণ্যের উচ্চমূল্যের প্রভাব কমবে না। প্রত্যক্ষ করের বদলে পরোক্ষ কর বেড়েছে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়ায় অর্থনীতি বিপাকে পড়েছে। কর্মনিরাপত্তা নিয়ে কাজ করতে হবে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য ট্রেড লাইসেন্সসহ সহজ নীতিমালা প্রণয়ন প্রয়োজন। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য তথ্যপ্রবাহ বাড়াতে হবে। সিজিএসের সংলাপে বোদ্ধাজনদের মতামত তাৎপর্যের দাবিদার। দীর্ঘদিন ধরে দেশের অর্থনীতি অধোগতির শিকার। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে নানা কারণে উৎপাদন বিঘিœত হয়েছে। কলকারখানায় সাবোটাজের জন্য লাখো মানুষের কর্মসংস্থান রুদ্ধ হয়ে গেছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যে তোড়জোড় চলছে তা এগিয়ে নিতে অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করাও জরুরি।