শিরোনাম
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি)খুলনার নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই শিক্ষার্থীর নাম পল্লবী মন্ডল। পল্লবী বশেমুরবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া এলাকায়।
সহপাঠীরা দাবি করেন, পল্লবী চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। বিশেষ করে বিসিএসের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিল। কিন্তু করোনার কারণে সৃষ্ট সেশনজটে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এর জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
পল্লবীর মৃত্যুর বিষয়ে গভীর শোক প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান জুবাইদুর রহমান বলেন, ‘আমি বিষয়টি পল্লবীর সহপাঠীদের কাছ থেকে জেনেছি। পল্লবী হতাশাগ্রস্ত ছিল। ইতোপূর্বে আমার সঙ্গে পল্লবীর মা দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি আমাকে পল্লবীর হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ার বিষয়ে জানান। আমি ওই সময়ে তাকে পরামর্শ দেই, প্রয়োজনে পল্লবীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসতে। কারণ বন্ধুদের সাহচর্যে তার হতাশা দূর হতে পারে এবং একা থাকলে হতাশা আরও বেড়ে যাবে। এ ছাড়া একাডেমিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছিলাম। তার এমন মৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য না।’
খুলনার ডুমুরিয়া থানার ওসি মো. ওবায়দুর রহমান জানান, নানার বাড়িতে বসবাস করতো সে। গত রাতে নানির সঙ্গেই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু ভোরে ঘুম ভেঙে নানি তাকে বিছানায় পাননি। এরপর বের হয়ে রান্না ঘরে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। সে গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। গ্রামে এসে মানসিক অস্থিরতার মধ্যে ছিল বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুর ঘটনায় চাচাতো ভাই উজ্জ্বল থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে লাশ ময়নাতদন্তের করা হবে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন