শিরোনাম
রাজধানী মতিঝিল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত মাওলানা রফিকুল ইসলামসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আরেক আসামি হলেন মাহমুদুল হাসান ওরফে মুর্তজা।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।
এদিন রফিকুল ইসলাম মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুল ইসলাম মতুর্জা এ সময় ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মাদানীর পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আর মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন চান তার আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত মাদানীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২১ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক রেজাউল করিম তাদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
গত ৮ এপ্রিল রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মো. আদনান শান্তু নামে একজন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মতিঝিল থানায় মামলা করেন।
এর আগের দিন ৭ এপ্রিল ‘শিশুবক্তা’ রফিকুল ইসলামকে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাব।
এসময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় মামলা করেন।
১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, রফিকুল ইসলামের মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা তার মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের কয়েকটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে।