শিরোনাম
পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা চলছে। সরকারঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে মেলা নিয়ে নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় মেলা চলবে কি না সে বিষয়ে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপনে নতুন ধরন ওমিক্রনসহ করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আগামী ১৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে সারাদেশে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে।
একই সঙ্গে দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে, অন্যথায় আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলেও জানানো হয়।
মেলা কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সেটা বাণিজ্যমেলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কি না সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। যেহেতু শপিংমল, বাজারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ক্ষেত্র চালু থাকছে, সেক্ষেত্রে বাণিজ্যমেলা চালু রাখা যায় কি না সেটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আজ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে মেলা কর্তৃপক্ষকে মন্ত্রণালয় জানাবে।
এ বিষয়ে ইপিবির সচিব ও মেলার পরিচালক মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাণিজ্যমেলার বিষয়ে মন্ত্রণালয় আজ হয়তো সিদ্ধান্ত নেবে। এ বিষয়ে কি করা যায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে। তারা সিদ্ধান্ত নিলে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করবো। বিধিনিষেধে গণজমায়েত বন্ধের শব্দটা কিছু কনফিউশন তৈরি করেছে। আমরা আশা করছি, পজিটিভ কিছু হবে।’
মেলা চললে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেলা চললে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে অবশ্যই আরও বেশি ব্যবস্থা নেবো। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে মেলায় কঠোরতা বাড়বে। নিজেদের মতো করে বিধিনিষেধগুলো তৈরি করবো।’
সূত্র: জাগো নিউজ