গ্রাহকদের ৫৯ কোটি টাকা ফেরত দিচ্ছে কিউকম

ফানাম নিউজ
  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ০৭:১৩

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ডটকমের লেনদেনের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকে আছে পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টারের কাছে। এর মধ্যে ছয় হাজার ৭২১ গ্রাহকের ক্রয়াদেশের বিপরীতে ৫৯ কোটি টাকা ফেরতের বিষয়ে একমত পোষণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে কিউকম ও তাদের পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের সই করা প্রতিবেদনটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, আমরা গত ২৮ তারিখ কিউকমের গ্রাহকদের টাকা ফেরতের বিষয়ে বৈঠক করেছিলাম। সেখানে তাদের প্রতিবেদন দিতে ১০ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। তারা আপাতত ৫৯ কোটি টাকার একটা হিসাব দিয়েছে, সেটার প্রতিবেদন আমার কাছে জমা আছে। আমরা এই টাকাটা গ্রাহকদের ফেরত দেবো। দুই পক্ষ যৌথভাবে রিপোর্টটি করেছে, তবে এটা আংশিক রিপোর্ট। কারণ এটা টেকনিক্যাল, তারা ছয় হাজার সাতশোর কিছু বেশি গ্রাহকের তালিকা পাঠিয়েছে। বাকি যেটা আছে সেগুলো আমরা রোববার পর্যন্ত সময় দিয়েছি, এর মধ্যে বাকি প্রতিবেদন দিতে বলেছি।

কবে নাগাদ গ্রাহকরা এই টাকা পাবেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের একটা ফরমাল চিঠি দেবো। কাল আমাদের তেল নিয়ে ভিজিট থাকায় পরশু বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেবো। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক বাকি কাজ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু টাকা ছাড় করবে। এখানে কোনো জটিলতা হওয়ার কথা নয়। সব জটিলতাই শেষ।

কিউকমের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ আগেই জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে যাত্রা শুরু করা কিউকম ফস্টারের মাধ্যমে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে নিয়েছে। এখনও ফস্টারের কাছে কিউকমের ৩৯৭ কোটি টাকা আটকা পড়ে আছে। এর মধ্যে গ্রাহকরা কিউকমের কাছে ক্রয়াদেশ বাবদ ২৫০ কোটি টাকা পাবেন।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক চিঠিতে কিউকম ফস্টারের কাছে গ্রাহকদের একটি বড় অঙ্কের টাকা আটকে থাকার কথা জানায়। ফস্টার পেমেন্টস মূলত এসএসডি টেক নামক একটি কোম্পানির পেমেন্ট সার্ভিস উইং। বাংলাদেশের পাশাপাশি মালয়েশিয়া, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুরেও তারা রাতদিন সেবা দেয়।

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান কিউকম ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাজারমূল্যের চেয়ে কমে পণ্য দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহ না করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।