শিরোনাম
কক্সবাজারে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে নারী পর্যটককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক ওরফে টনের্ডো আশিককে (৩০) রোববার রাতে মাদারীপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আশিক গ্রেপ্তার এড়াতে তার ভ্রু, দাঁড়ি ও গোঁফ কেটে ফেলেছিলেন। কারণ তার দাড়ি গোঁফওয়ালা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। সূত্র: আরটিভি
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় আশিকের মুখে দাড়ি ও গোঁফ ছিল। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ভাইরাল হলে আশিক গ্রেপ্তার এড়াতে ভ্রু ও দাঁড়ি কেটে ফেলে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায় আশিক। পরবর্তীতে সে বেশভূষা পরিবর্তন করে ঘটনার দুইদিন পর কক্সবাজার থেকে বাসযোগে ঢাকায় আসে। তারপর ঢাকা থেকে পটুয়াখালী যাওয়ার পথে তাকে মাদারীপুরের মোস্তাফাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার হয়।
আশিকের বরাতে র্যাব মুখপাত্র বলেন, আশিক ও তার সহযোগীরা ভিকটিম ও তার পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ভিকটিম ও তার পরিবার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অতঃপর লাবনী বিচ এলাকার রাস্তা থেকে ভিকটিমকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেপ্তার আশিকুল ইসলাম ভিকটিমকে ধর্ষণ ও জিয়া গেস্ট ইন হোটেলে আটক করে রেখে ভিকটিমের স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমকে হোটেলে আটকে রেখে গ্রেপ্তার আশিক হোটেল থেকে বের হয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়- ভুক্তভোগী ওই নারী স্বামী-সন্তানসহ কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থান করছিলেন। তাদের আট মাস বয়সী একটি শিশু সন্তান রয়েছে। শিশুটির জন্মগতভাবে হার্টে ছিদ্র থাকায় তার চিকিৎসায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। শিশুটির চিকিৎসার অর্থ সংকুলানের আশায় কক্সবাজারে অবস্থান করছিল ওই পরিবারটি। তারা বিত্তবান পর্যটকদের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য চাইতো। এসময় ওই নারী অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার হন। স্ত্রী অপহরণের ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী র্যাব-১৫ এর কাছে তাকে উদ্ধারে সহায়তা চায়। এরপর র্যাব ভিকটিমের স্বামীকে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ও একপর্যায়ে ভিকটিম উদ্ধার হয়।