শিরোনাম
স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় সাধারণ নারী কোটায় পুলিশ সদস্য পদ থেকে বাদ পড়া মিম আক্তারকে পুলিশ প্রশিক্ষণের জন্য ডাকা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে রংপুরে তাকে ৬ মাসের প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। নগরীর ৯৫ বয়রা ক্রস রোডের ঠিকানায় এই নোটিশ পাঠানো হয় বলে সূত্র জানায়। সূত্র: আরটিভি
এর আগে গত ১১ ডিসেম্বর খুলনা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে মিমকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পুলিশ ভেরিফিকেশনে স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় মেধা তালিকায় প্রথম হলেও চাকরিটি তাকে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের পর তাকে সহায়তার জন্য পাশে দাঁড়ান খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
মিম আক্তার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকার ১ নম্বর রোডে ডাক্তার বাবর আলীর বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে পুলিশ কনস্টেবল পদে আবেদন করেন। তার বাবা রবিউল ইসলাম ১৯৮৮ সাল থেকে এই রোডের আশপাশে বিভিন্ন স্থানে ভাড়াটিয়া হিসেবে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
মিমের বাবা মো. রবিউল ইসলাম জানান, দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে খুলনায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছি। মিমের জন্মও খুলনাতে। জন্ম সনদে তাকে খুলনা সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা বলে উল্লেখ করা হয়। স্থায়ী জমি না থাকায় মিমের চাকরিটা হচ্ছিল না। তবে সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় চাকরিটা পেয়েছে মিম।
তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর টেক্সটাইল মিল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মিকাইল আমাকে ও মিমকে ডেকে একটি নোটিশ দিয়েছেন। নোটিশে মিমকে পুলিশ ট্রেনিংয়ের জন্য ডাকা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ঘর দেবে বলে জানানো হয়েছে।
খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহম্মেদ জানান, পুলিশ ট্রেনিং রিক্রুট কনস্টেবল পদে সাধারণ নারী কোটায় মেধা তালিকায় প্রথম হন মিম আক্তার। তবে পুলিশ ভেরিফিকেশনে স্থায়ী ঠিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। আমরা ঘটনাটি পুলিশ হেড কোয়ার্টারকে জানাই। অবশেষে পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশনায় মিমের আবেদন আমরা গ্রহণ করেছি। ট্রেনিংয়ের জন্য মিমকে ডাকা হয়েছে। ট্রেনিং শেষে মিম চূড়ান্ত নিয়োগপত্র পাবেন।