চট্টগ্রামে বড় মাপের ভূমিকম্পে বিশাল ক্ষতির আশঙ্কা

ফানাম নিউজ
  ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫:৫৫

চট্টগ্রাম মহানগরীর ৭৮ শতাংশ ভবন অর্থাৎ চার ভাগের তিন ভাগ ভবনই ভূমিকম্প ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭৪০টি স্কুল। এমন গবেষণা তথ্য ১০ বছর আগেই দিয়েছে চট্টগ্রামের আর্থকোয়াক ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ সেন্টার। অথচ এতো বছর পরও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্র: আরটিভি

এ কারণে বড় ভূমিকম্পে বিশাল ক্ষতির আশঙ্কায় মহানগরসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞদের মতে বড় ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হলে প্রস্তুতির জন্য আর সময় নষ্ট করা যাবে না।

দেশে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হতে পারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার, বাংলাদেশ-ভারত এবং মিয়ানমার-ভারত সীমান্ত এলাকায়। এসব এলাকায় ৭ দশমিক ৫ থেকে ৮ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি হতে পারে। আর তা হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৭৮ শতাংশ ভবনই রয়েছে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে। ১০ বছর আগের এমন তথ্যের পরও প্রস্তুতি না নেওয়ায় শঙ্কিত মহানগরীর বাসিন্দারা।

প্রায় ১০ বছর আগের জরিপে যে চিত্র উঠে এসেছিল তা বর্তমানে অনেকগুণ বাড়বে। কিন্তু এ নিয়ে আর কোনো জরিপ হয়নি। সম্প্রতি একদিনের ব্যবধানে দুবার ভূ-কম্পন অনুভূত হয় চট্টগ্রামে। এরপর ভবন হেলে পড়ার মতোও ঘটনা ঘটে। তবে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি না হওয়ায় সরকারি সেবা সংস্থাগুলো এখনো উদাসীন। সংশ্লিষ্টদের মতে নগরীর ভবন ও স্থাপনার ৯০ ভাগই নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মিত।

স্থপতি ও নগর-পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান জানান, নগরীর ভবন ও স্থাপনার শতকরা ৯০ ভাগই নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় বিল্ডিং কোড-১৯৯৩ অনুসরণ করে ভবন নির্মাণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ভূমিকম্প প্রতিরোধী নিয়মাবলী প্রয়োগ করলে ভবন নির্মাণ খরচ মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।