শিরোনাম
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পরকীয়া প্রেমিক সন্দেহে আবু তাহের নামে এক সিকিউরিটি সুপারভাইজারকে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সূত্র: আরটিভি
এরআগে শুক্রবার নোয়াখালীর কিল্লার হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পঞ্চগড় জেলার তেতুলিয়া থানার ফকির পাড়ার চৌধুরী বাড়ির মৃত তাহির উদ্দিনের ছেলে গ্রেপ্তার আব্দুল জলিল। আর নিহত আবু তাহরের বাড়ি রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালিতে।
পুলিশ জানিয়েছেন, জলিলের সঙ্গে তার স্ত্রী রওশন আরার তালাক হয়ে যায়। স্ত্রী তার ১২ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে স্টিল এলাকায় থাকে। আর জলিল নোয়াখালীতে থাকেন। রওশন আরার পাশের বাসায় তাহের থাকতেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে রওশন আরাকে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতেন। যা নিয়ে জলিলের সন্দেহ ছিল।
তালাক হয়ে যাওয়ার পরও জলিল পুনরায় রওশন আরার সঙ্গে সংসার করতে চেয়ে চাইছিলেন। গত ৯ ডিসেম্বর জলিল চট্টগ্রামে এসে রওশন আরার মামীর বাসায় ওঠেন। ১৪ ডিসেম্বর রওশন আরার বাসায় গিয়েছিলেন।
পরদিন সকালে জলিল বাসা থেকে বের হওয়ার পর রওশন তার ১২ বছর বয়সি ছেলেকে নিয়ে বাসা ছেড়ে চলে যায়। জলিল বাসায় এসে স্ত্রী-সন্তানকে না দেখে ধারণা করেন যে তার স্ত্রী-সন্তানকে তাহের লুকিয়ে রেখেছে। ওই সন্দেহ থেকেই বৃহস্পতিবার স্টিল এলাকায় জলিল তার স্ত্রীর মামাত ভাই ও মামাত বোনের স্বামীকে নিয়ে তাহেরকে বাসা থেকে ডেকে বাইরে এনে মারধর করেন। তাহেরকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মারা যায়। এ ঘটনায় তাহেরের মেয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন। যদিও ততক্ষণে মৃত্যুর খবর পেয়ে জলিল চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যায়।
পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, আবু তাহেরের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়ার পরপরই জলিল চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। শুক্রবার জলিলকে নোয়াখালীর কিল্লার হাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার সকালে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আব্দুল জলিলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।