শিরোনাম
দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠকের পর বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই মূল্য সূচকের উল্লম্ফন হয়েছে।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক একশ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়। শুরুর এই বড় উত্থান লেনদেনের প্রথম ঘণ্টাজুড়েই অব্যাহত রয়েছে। তবে লেনদেনে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পাশাপাশি অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে সবকটি সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।
এর আগে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বৈঠকে বসে দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বৈঠক শেষে বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, পুঁজিবাজারের অদাবিকৃত ডিভিডেন্ড নিয়ে গঠিত স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের ব্যাপারে একমত বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বিষয়টি নিয়ে কিছু আইনগত অস্পষ্টতা রয়েছে।
তিনি বলেন, স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের নিয়ে কিছু আইনগত অস্পষ্টতা রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিএসইসি-বাংলাদেশ ব্যাংক উভয়পক্ষ এ বিষয়ে আন্তরিক। আমাদের কারও সঙ্গে কারও কোনো মতবিরোধ নেই।
বিএসইসির এই কমিশনার বলেন, বৈঠকে আমার মনে হয়েছে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংক খুবই আন্তরিক। যে কারণে তারা বন্ডে বিনিয়োগকে বিনিয়োগ সীমার বাইরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া বিনিয়োগ সীমা গণনায় বাজারদরের পরিবর্তে কস্ট প্রাইসকে বিবেচনায় নেয়ার যে দীর্ঘদিনের চাহিদা রয়েছে, সেটাও তারা সমাধান করবে। এ জন্য যা করণীয় তারা তাই করবেন।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা বাজার নিয়ে হতাশ হবেন না। বাজার ভালো করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা উভয় রেগুলেটরি বডি ভালো বাজারের জন্য যা যা করা দরকার তা করে যাবো।
দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই বৈঠকের পর বুধবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স একশ পয়েন্টের ওপরে বেড়ে যায়।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বেলা ১১টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের তুলনায় ১২৪ পয়েন্টে বেড়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৪৯ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়েছে।
এসময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৩৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১টির। আর ১৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২৪৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫৪ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৩টির, কমেছে ১৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১১টির।
সূত্র: জাগো নিউজ