মেয়র আব্বাসের দুর্নীতি : পৌরসভার ফান্ডে নেই চা খাওয়ার মতো টাকা

ফানাম নিউজ
  ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১৭:০২

‘রাজশাহীর কাটাখালি পৌরসভার নামে বছরে সাড়ে তিন কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করা হয়। কিন্তু মেয়র আব্বাসের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে বর্তমানে ফান্ডে এক কাপ চা খাওয়ার মতো টাকা নেই’ বলে অভিযোগ তুলেছেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান।

আজ শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় কাটাখালি পৌরসভায় মেয়র আব্বাসের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান বলেন, গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প- দ্বিতীয় পর্যায়, নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ উন্নয়ন প্রকল্পের যাবতীয় কাজ তার আত্মীয়-স্বজন ও পছন্দের লোকজনের নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স খুলে কাজ দিতেন।তিনি বাইরের ঠিকাদারকে লাইসেন্স ইস্যু করতে দিতেন না। আব্বাসের আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে চারজনের নামে লাইসেন্স রয়েছে এই পৌরসভায়।

তিনি আরও বলেন, পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী চৌমুহনীর আবুবক্কার হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার ভাই আরিফুল ইসলাম মানিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিউল ইসলাম লিলোন হত্যা মামলার ফাঁসির আসামি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ১নং প্যানেল মেয়র আনোয়ার সাদাত, ২নং প্যানেল মেয়র মো. সিরাজুল ইসলাম, ৩নং প্যানেল মেয়র মোসা. হোসনেয়ারা বেগম, ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন মোল্লা, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বোরহান উদ্দিন রাব্বানী, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনির, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল মজিদ ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভা ভবনে সভাকক্ষে কাউন্সিলরদের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ১২ জন কাউন্সিলর মেয়র আব্বাসের অপসারণে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন।পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের বাসভবনে গিয়ে আবেদন পত্রটি জমা দেন কাউন্সিলররা।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নিয়ে সোমবার (২২ নভেম্বর) রাত থেকে পৌর মেয়র আব্বাসের কটূক্তিমূলক বক্তব্যের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ১ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের অডিও ক্লিপে মেয়র আব্বাসকে বলতে শোনা যায়, ‘ওই গেটটি দ্রুত নির্মাণ হবে। তবে আমরা যে ফার্মকে কাজটি দিয়েছি, তারা গেটের ওপরে বঙ্গবন্ধুর যে ম্যুরাল বসানোর ডিজাইন দিয়েছে, সেটি ইসলামী দৃষ্টিতে সঠিক না। তাই আমি সেটিকে বাদ দিতে বলেছি।’

আরও শোনা গেছে, ‘যেভাবে বুঝেছে তাতে আমার মনে হইছে, ম্যুরালটা হইলে আমার ভুল হয়ে যাবে। এ জন্য চেঞ্জ করছি। এই খবরটাও যদি আবার যায় রাজনীতি শুরু হয়ে যাবে। ওই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল দিতে চাইয়া দিচ্ছে না! বঙ্গবন্ধুকে খুশি করতে যাইয়া নারাজ করব নাকি? এইডা নিয়েও রাজনীতি করবে কিন্তু আমি শিওর।’