শিরোনাম
কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় পরকীয়ার জেরে মায়ের বিরুদ্ধে ৯ মাসের শিশুকে নানাবাড়ির ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ করেছেন দাদি।
তবে শিশুটির মামার দাবি, ভাগিনা আবরার ছাদে খেলতে গিয়ে অসতর্কতা বশত পড়ে গুরুতর আহত হলে পুরান ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন সোমবার সকালে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির দাদির অভিযোগের ভিত্তিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
নিহতের দাদি আয়েশা আক্তার জানান, আড়াই বছর আগে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার মৃত ছলিম উল্লাহ ভুঁইয়ার বড় মেয়ে সুপ্তিকে বিয়ে করেন দনিয়ার আদর্শ নগর রোডের বাসিন্দা কাতার প্রবাসী পারভেজ আহমেদ। বিয়ের পর থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে সুপ্তি তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। সোমবার সকালে ওই এলাকার এক প্রতিবেশী তাকে মোবাইল ফোনে জানান যে, তার নাতি ছাদ থেকে পড়ে গেছে। তাকে গেণ্ডারিয়ার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন মারা গেছে। এ কথা শুনে তিনি হাসপাতালে ছুটে যান।
তিনি কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে বলেন, এ টুকুন একটা ফুটফুটে শিশু ছাদ থেকে পড়ে মরতে পারে না। তাকে ওপর থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রবাসী ছেলের সঙ্গে বউয়ের মনোমালিন্য চলছে। সে আমার ছেলের সংসার করবে না বলে বিভিন্নভাবে শাসিয়ে আসছে। শুনেছি, অন্য এক ছেলের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। পথের কাঁটা দূর করতে ওরা আমার নাতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। প্রথমে লাশ দিতে চায়নি। পরে থানায় অভিযোগ করার পর পুলিশ এসে লাশ এনেছে বলে জানান তিনি।
কেরানীগঞ্জ থানার এসআই সজিব আহমেদ জানান, আবরারের দাদি আয়েশা বেগম থানায় তার নাতিকে হত্যার অভিযোগ করেছেন। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সূত্রঃ যুগান্তর