শিরোনাম
বর্তমানে সামাজিকমাধ্যমে আলোচিত টিকটক উঠতি বয়সের কিশোর-কিশোরীদের এমনকি তরুণ-তরুণীদের কাছে চাকচিক্য একটি নাম। এই টিকটকের ফাঁদে পড়েই কিশোরী ইয়ানুর বাড়ি থেকে উধাও হয়েছে। মেয়েকে হারিয়ে অসহায় মা-বাবা।
টিকটকের নেশায় গত ৯ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাদামতলা গ্রামের ইয়ানুর আক্তার বাড়ি ছেড়েছেন আরেক টিকটকার ‘অভিমানি আসিফ’র সঙ্গে। পরিবারের দাবি ‘অভিমানি আসিফ’ নামে টিকটকার নারীপাচার চক্রের সদস্য।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রূপগঞ্জে বাদামতলা গ্রামের নানির বাড়ির পাশে বসবাস করেন ইয়ানুর আক্তার (১৩) পরিবার। সে ধানমন্ডি আলিফ আইডিয়াল পাবলিক স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় মোবাইলের নেশায় পড়ে টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে মাসখানেক পূর্বে নিজেই টিকটকের অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ শুরু করেন। উঠতি বয়সি তরুণী ইয়ানুরকে আরেক টিকটকার ‘অভিমানি আসিফ’ ম্যানেজও করে ফেলেন। টিকটকে অভিমানি আসিফের প্ররোচনায় ১৪ বছরের ইয়ানুর পালিয়ে গেছেন।
ইয়ানুরের মা মণি আক্তার কাছে দাবি করেন, অভিমানি আসিফ নামে ওই যুবক সংঘবদ্ধ নারী পাচার চক্রের সদস্য। ইয়ানুর ওই নারী পাচার চক্রের শিকার বলেও আশঙ্কা তার। তিনি আরও জানান পাশের বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, স্বাভাবিকভাবেই বাসা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ইয়ানুর আক্তার।
অন্যদিকে ঘটনার শিকার আবদুল মান্নান বলেন, এ ধরনের ঘটনায় আর কোনো পরিবারের যেন ক্ষতি না হয়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ করছি, টিকটক নামে অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হোক।
টিকটকার কিশোরী ইয়ানুর আক্তারের বাড়ি থেকে উধাও হওয়া কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের অভিভাবকদের মাঝেও দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা। বিশেষ করে টিকটক নামে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীদের দেখা যায় এর আড়ালে পাচার বা অপহরণের শিকার হয় অনেকে।
রূপগঞ্জ থানায় এ ব্যাপারে একটি অপহরণ মামলা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে বলে ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মেহেদী হাসান বলেন, তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদের খোঁজার কাজ চলছে। সূত্রঃ আরটিভি