শিরোনাম
গাইবান্ধার সদর উপজেলায় নির্বাচিত হওয়ার পর দিন ইউপি সদস্য আব্দুর রউফকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
শনিবার রাত ১১টার দিকে সদর থানায় নিহতের বড় বোন মমতাজ বেগম বাদী হয়ে আরিফ মিয়াকে (৩৮) প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে প্রধান আসামি আরিফ মিয়া। আরিফ মিয়া লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর মাগুরাকুটি গ্রামের হায়দার মিয়ার ছেলে।
সদর থানার ওসি মো. মাসুদার রহমান জানান, রাত ১১টার দিকে সদর থানায় নিহতের বড় বোন মমতাজ বেগম বাদী হয়ে লিখিত এজাহার দাখিল করেন। পরে রাতেই এজাহারটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আরিফকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গাইবান্ধার সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হওয়ার পর দিনই ইউপি সদস্য আব্দুর রউফকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। আব্দুর রউফ ওই এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে। তিনি স্থানীয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলার ১২ ইউনিয়নের সঙ্গে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নির্বাচন বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়। তিনি ১নং ওয়ার্ডে মোরগ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। নির্বাচনে আব্দুর রউফ ৭৮৪ ভোট পেয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।
এরই পর দিন শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আব্দুর রউফ লক্ষ্মীপুর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গোবিন্দপুর মসজিদসংলগ্ন সড়কে তার ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।