প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত

ফানাম নিউজ
  ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৭:৫৮

সরকারি পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া জনতা ও রূপালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্প‌তিবার (১১ নভেম্বর)ব্যাংক দু‌টির সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হ‌লেন, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার শামসুল হক শ্যামল, রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন ও সোহেল রানা।

এর আগে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা এবং রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তেজগাঁও বিভাগ।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন তেজগাঁও জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মো. শাহদাত হোসেন সোমা।

তিনি বলেন, বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জনতা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে, বরখাস্তের বিষ‌য়ে কিছু নিয়ম-নীতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ নি‌য়ে বৈঠক করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

রূপালী ব্যাংকের সং‌শ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, কেউ যদি এ ধর‌নের অপরাধ করেন, তবে নিয়ম অনুযায়ী তিনি স‌ঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত হ‌য়ে যান।

এর আগে, বুধবার একই অভি‌যো‌গে পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়। পূবালী ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা রাজধানীর ইমামগঞ্জ শাখায় কর্মরত ছিলেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এতে পরীক্ষা বা‌তি‌লের দা‌বি করে‌ন সাধারণ পরীক্ষার্থীরা।

গত শনিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন।

চাকরিপ্রত্যাশীরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষা ৪টার সময় শেষ হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১০০টি প্রশ্নের (বাংলা-ইংরেজি-সাধাণজ্ঞান) প্রিন্ট করা সঠিক উত্তর সামাজিক মাধ্যমে পাওয়া গেছে। প্রশ্ন যদি আগেই ফাঁস না হতো তাহলে এত অল্প সময়ের মধ্যে তা পাওয়া সম্ভব হতো না।