শিরোনাম
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের জেটিতে নাব্যতা সংকটের কারণে সময়মতো ভিড়তে পারছে না বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ। ফলে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আমদানিকৃত মালামাল নিয়ে গত দুইদিন ধরে বন্দরের ফেয়ারওয়ে এলাকায় বাধ্য হয়ে অবস্থান করছে একটি বিদেশি জাহাজ।
বুধবার (১০ নভেম্বর) সকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার পর থেকে এ সমস্যা দেখা দেয়।
বিদেশি জাহাজ এমভি এসটিএল হারভেস্টের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট কিউএনএসর খুলনার ম্যানেজার মো. নাজমুল জানান, পানামা পতাকাবাহী এমভি এসটিএল হারভেস্ট ভারত থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৩৯শ’ টন মালামাল নিয়ে সোমবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়েতে আসে। ফেয়ারওয়েতে আসার আগের দিন রোববার (৭ নভেম্বর) জাহাজটি বন্দর জেটিতে আনার জন্য পাইলট বুকিং দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বন্দর জেটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ গভীরতা না থাকায় কর্তৃপক্ষ জাহাজটি আনতে পারছে না।
তিনি জানান, বন্দর জেটির শুধুমাত্র ৯ নম্বরে নাব্যতা রয়েছে। সেখানেও বর্তমানে আরও একটি জাহাজ রয়েছে। এছাড়া ৭ ও ৮ নম্বরেও নাব্য সংকট রয়েছে। ফলে সময়মতো জাহাজটি জেটিতে আনতে পারছে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। গুরুত্বপূর্ণ রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আসা জাহাজটি জেটিতে আনতে না পারায় ও দ্রুত খালাস করতে না পারলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের চলমান কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়ে পড়বে।
তিনি আরও জানান, এ মাসের ১৫ তারিখও রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে আরও একটি বিদেশি জাহাজ এ বন্দরে আসবে। তবে জেটিতে যে নাব্য সংকট রয়েছে তাতে জাহাজ আনা ও পণ্য খালাসে কী অবস্থা হবে তা এখন বলতে পারছেন না।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, জেটিতে প্রতি বছরই ড্রেজিং করে নাব্যতা সংরক্ষণ করতে হয়। এবারও তা করতে গিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টিতে বিলম্ব হচ্ছে। জেটির ৯ নম্বরে নাব্যতা রয়েছে। সেখানে ৭ মিটারের জাহাজ ভিড়তে পারছে। আর সেখানে বর্তমানে একটি জাহাজও রয়েছে। বাকী ৭ ও ৮ নম্বরে ড্রেজিংয়ের জন্য ডাইক (বালু ফেলার স্থান) নির্মাণে বন্দরের নির্ধারিত জায়গা প্রস্তুত করতে গেলে সেখানে অবৈধ ধানখেতের কারণে তা বিলম্ব হয়। আশা করছি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি এ সমস্যা আর থাকবেনা। সূত্রঃ আরটিভি