দেশে জ্বালানি তেলের মজুদ কত?

ফানাম নিউজ
  ০৬ নভেম্বর ২০২১, ১৮:০৩

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির আগের দিন বুধবার ২ হাজার টন ডিজেল বেশি বিক্রি হয়েছে। এতে বর্তমানে দেশে ডিজেল ৫ লাখ ২০ হাজার টন, কেরোসিন ২২ হাজার টন, ফার্নেস অয়েল ৬৬ হাজার টন মজুদ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্র: আরটিভি

জানা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির আঁচ পেয়ে বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিভিন্ন বিপণন কোম্পানি থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ফিলিং স্টেশন, ডিলাররা জ্বালানি তেল মজুদ করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে বিপিসি'র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গত মঙ্গলবার ও বুধবার দুটি কারণে জ্বালানি তেলের বিক্রি বাড়তে পারে। প্রথমত- আগেভাগে একটি চক্র জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির তথ্য পেয়েছে। দ্বিতীয়ত- বিপণন কোম্পানির কর্মকর্তাদের কারসাজি থাকতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মঙ্গলবার বিপিসি'র নিয়ন্ত্রণাধীন বিভিন্ন বিপণন কোম্পানির (পদ্মা, মেঘনা, যমুনা এবং এসএওসিএল) ডিপো থেকে কেরোসিন বিক্রি হয়েছে ৩৫০ টন, ডিজেল বিক্রি হয়েছে ১৪ হাজার টন এবং ফার্নেস অয়েলের বিক্রি ছিল ১ হাজার ৬০০ টন।

জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির আগে বুধবার সারাদেশে ডিজেল বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার টন, কেরোসিন বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫০০ টন এবং ফার্নেস অয়েল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪০০ টন।

শুধু একদিনের ব্যবধানে ডিজেলের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ২ হাজার টন। কেরোসিনের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ১৫০ টন এবং ফার্নেস অয়েলের বিক্রি বেড়েছে ৮০০ টন।

এ বিষয়ে বিপিসি'র চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ বলেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির তথ্য পাচার হওয়ার সুযোগ নেই। মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টির গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। কখন দাম বাড়ানো হবে, তা আমরাও সঠিক করে বলতে পারি না। আমরা মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করি মাত্র।

বিক্রি বাড়ার পেছনে কোনো কারসাজি আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি বিপণন বিভাগ দেখাশোনা করে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।