শিরোনাম
বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতে জাতীয় সংসদে ৬০টি সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা এ দাবি জানান।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার প্রাক্কালে দেশে ২২ শতাংশ হিন্দু থাকলেও বর্তমানে তা সরকারি হিসাবে ১১ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে প্রতিনিয়ত নানা কটূক্তি ও বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে; জবাব দিতে গেলে আইসিটি অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে। কুমিল্লা, হাজীগঞ্জ, নোয়াখালী ও রংপুরসহ সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ১৭ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে প্রতিনিয়ত কটূক্তি করলেও আজ পর্যন্ত হিন্দু ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কোনো মামলা হয়নি, কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অতীতের সব ঘটনায়ই সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে অপরাধীরা অপরাধ করতে আরও উৎসাহিত হচ্ছে।
তারা বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হিন্দু ও মুসলিমের মধ্যে প্রীতির বন্ধন বিরাজমান। গুটি কয়েক স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়া দেশের বেশির ভাগ মানুষ অসাম্প্রদায়িক। কিন্তু এই গুটি কয়েক দুষ্ট মানসিকতার রাজনীতিকরাই বিভিন্ন সময়ে ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বারবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে হিন্দু সম্প্রদায়ই শুধু বারবার নির্যাতিত হচ্ছে না, বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিও ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে। সে কারণে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে এবং দুষ্ট রাজনীতিকদের হাত থেকে হিন্দু সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসন ও পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা এবং একটি সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা দরকার।
অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জোটের সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ চন্দ্র পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, প্রেসিডিয়াম মেম্বার অভয় কুমার রায় প্রমুখ।