শিরোনাম
জাতীয় সঞ্চয়পত্রের স্কিমে মুনাফার হার সম্প্রতি কমিয়েছে সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের স্কিমে মুনাফার হার আগের মতোই রাখা হয়েছে। তবে এর বেশি পরিমাণ স্কিমে মুনাফার হার কমানো হয়েছে। পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমানোসহ নানা শর্ত দিয়েছে সরকার।
মুনাফার হার কমানোর প্রভাব পড়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে। চলতি অর্থবছরের আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমেছে ২২ দশমকি ১৫ শতাংশ। আগস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৬২৯ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকায়। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকার চলতি অর্থবছর সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ৩২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে আট হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা বিক্রি করেছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
আগস্ট মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল তিন হাজার ৬২৯ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরে কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৮২৫ কোটি টাকায়।
তবে অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে নিট বিক্রির পরিমাণ বেড়েছিল ৭২ শতাংশ। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই শেষে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রির পরিমাণ দুই হাজার ১০৪ কোটি টাকা।
ঘাটতি বাজেট পূরণে সরকার বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ উৎসের আশ্রয় নিয়ে থাকে। তবে চলতি অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎসের চেয়ে বৈদেশিক উৎসের প্রতি নির্ভরতা কিছুটা বাড়িয়েছে সরকার।
অভ্যন্তরীণ খাত থেকে চলতি অর্থবছর ঋণের লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে ব্যাংক থেকে ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি এবং জাতীয় সঞ্চয়পত্র থেকে ৩২ হাজার কোটি টাকা থেকে ঋণ নেবে সরকার। অন্যান্য খাত থেকে সরকার নেবে পাঁচ হাজার এক কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে নিট প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে, যা তার আগের অর্থবছর (২০১৯-২০) ছিল ১৪ হাজার ৪২৮ কোটি টাকা। অর্থবছর হিসেবে সর্বোচ্চ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরে।
ওই অর্থবছর এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৯০ হাজার ৩৪২ কোটি ৩৯ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৬৭ হাজার ১২৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।
আগে বিক্রি হওয়া সঞ্চয়পত্রের সুদ ও আসল পরিশোধের পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাকে নিট বিক্রি বলা হয়। বিক্রির ওই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকে এবং সরকার তা রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজে লাগায়।
এর বিনিময়ে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের প্রতি মাসে লভ্যাংশ দিতে হয়। অর্থনীতির পরিভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রিকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ