শিরোনাম
রাজশাহীর দুর্গাপুরে শফিকুল ইসলাম আজম (৪৫) নামের এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার দুর্গাপুর বাজার থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়। দুপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় তাকে।
গ্রেপ্তারকৃত যুবদলনেতা আজম উপজেলার সিংগা গ্রামের মৃত দূর্লভ কারিগরের ছেলে। সে দুর্গাপুর পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে উপজেলার গগনবাড়িয়া মৃত.জয়েন উদ্দিনের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহিন বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম আজমকে প্রধান আসামি করে এজাহারভুক্ত নামীয় ১৭ জনসহ অজ্ঞাত -১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সাইদুর রহমান মন্টু (৬৫) ইউনিয়ন যুবদল নেতা জামান (৫০) আলমগীর হোসেন (৩০) ইসরাফিল (৪৫) , (৫০), শাহিন (২৮) জামু (৪৫) তরিকতউল্ল্যা (৪৫) ,লইয়ম (৫০) আজাদ (৪০) ,আসাদুল (২৮) জীবন (২৫) ,আফজাল (৩২), মাহাতাব (৫০), হানিফ (৩৫) নাসিমুল (৩৫) ।
জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার গগনবাড়িয়া এলাকায় লীজকৃত একটি খাস পুকুরে গিয়ে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। দাবিকৃত টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা বাদী ভয়ে দিতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে আবারও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। বাকি টাকা দিতে অস্বীকার করলে গত ১২ সেপ্টেম্বর যুবদলনেতা ক্ষিপ্ত হয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে পুকুরে জাল দিয়ে জোরপূর্বক মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে যুবদল নেতা আজমকে রাতে আটক করে।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, থানায় এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম আজমকে আটক করে দুর্গাপুর থানায় হস্তান্তর করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।