শিরোনাম
সুনামগঞ্জ ও ভারতের চেরাপুঞ্জিতে গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢলের পানি প্রবেশ করেছে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে। আর এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ৬ লাখের অধিক মানুষ।
ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে পৌর শহরের মধ্যবাজার, বড়পাড়া, তেঘরিয়া, নতুনপাড়া, বাধনপাড়া, উত্তর আরপিননগর, কাজীরপয়েন্ট, মরাটিলা শান্তিবাগসহ বেশকিছু এলাকার সড়ক। সেই সঙ্গে তলিয়ে গেছে শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকা হাসন নগরের ৫০টিরও বেশি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। অনেকেই তাদের বাড়িঘর ফেলে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা উঁচু এলাকার আত্মীয়স্বজনদের বাসায় ছুটছেন। পৌর শহরের পাশাপাশি বন্যাকবলিত হয়েছে জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে সুরমা নদীর পানি মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছাতক পয়েন্টে ১৫৫, শহরের নবীনগর পয়েন্টে ৬৮ সেন্টিমিটার এবং শক্তিয়ারখলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পৌর শহরের স্থানীয় বাসিন্দা এ আহসান রাজীব বলেন, যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এতে মানবিক বিপর্যয় নেমে ২০২২ সালের বন্যার মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। আর দুই ইঞ্চি যদি পানি বাড়ে তাহলে আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে।
বড়পাড়া এলাকার বাসিন্দা এহসান মমিন ঢাকা বলেন, আমাদের শৌচাগারে পানি প্রবেশ করেছে। বাসায় থাকা দুষ্কর। পুরুষদের অবস্থা যেমন তেমন নারীদের নিয়ে বিপাকে আছি।
নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা শ্রীবাস পাল জানান, বাসায় পানি প্রবেশ করে সব আসবাবপত্র ভেসে গেছে। পাশের বাসার গেটের ভেতর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছি প্রয়োজনীয় কিছু আসবাবপত্র। বাদবাকি জিনিস কোথায় আছে তার হদিস নেই।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার ৫১৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, আমরা সবাই মিলে এ দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করবো। এনজিওসহ সকল রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।